খাগড়াছড়িতে জঙ্গলে চোরাগোপ্তা মিছিল করে সহিংসতার অভিযোগে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে প্রধান করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ১০ থেকে ৫ জনকে আসামী করে মামলা করেছে পুলিশ।
থানাসূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে জননিরাপত্তা আইনে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় উপপরিদর্শক মোহিদুল ইসলাম। এ মামলার অপর আসামিরা হচ্ছে, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মংসুইপ্র চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি পৌরসভার সভার সাবেক মেয়র ও যুবলীগ নেতা মো: রফিকুল আলম, ছাত্রলীগ নেতা অর্নব ত্রিপুরা টুটুল (৩২), রয়েল ত্রিপুরা (৩০), এমং মারমা (৩৭), জিৎজয় ত্রিপুরা (৩০),অর্কিড চাকমা (৩৫), তেপান্তর চাকমা (২৮) হৃদয় মারমা (৩৩), ক্যাজরি মারমা (২৮), শাহাদাৎ হোসেন, জিসান প্রকাশ জিসান মিয়াজী (৩৪),জুয়েল চাকমা (৪০) শামিম গাজী (৩২), আরাফাত হোসেন (৩১), নাঈম হোসেন নয়ন (৩০), মেহেদী আলম(২৮), আনোয়ার হোসেন রুবেল (৩০), আইয়ুব আলী চৌধুরী (৩৭), টিকো চাকমা (৩৮), মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৩২) ও মংসাপ্রুং মারমা (৪০)। এছাড়া আরো ১০০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ১০ নভেম্বর সকালে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীসহ আওয়ামীলীগ ও আওয়ামীলীগের অঙ্গ-সংগঠনের বেশ কিছু নেতাকর্মী রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার মানসে, জনসাধারণের ক্ষতিসাধন ও নাশকতা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে হাতে লাঠিসোটা, ইটপাটকেল, রড, দা, কিরিচ নিয়ে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার বটতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পাকা রাস্তার উপর সরকারি বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে উগ্রতা প্রদর্শন করে ও বাজার ও আশপাশ এলাকায় প্রদক্ষিণ করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা তাদের সাথে থাকা অস্ত্র-শস্ত্র, লাঠি-সোঁটা, ইটের টুকরা ছুড়ে ফেলে পালিয়ে যায়।খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, গতকাল রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।


















