জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি এবং নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে খাগড়াছড়ি জেলা বাংলাদেশ জামায়াতই সলামী।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে মুক্ত মঞ্চ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে আদালত সড়ক হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে এসে সমাবেশ করে।

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হতে হবে দাবী জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাক্ষান করে তা প্রত্যাহার করার দাবী জানান বক্তারা। প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এমন বক্তব্য রেখেছেন বলে অভিযোগ করে বক্তারা বরেছেন, বিএনপির জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাছাইয়ের আহ্ববান জানিয়ে গণভোটের আগে ২০২৬ সালে কোন নির্বাচন হবেনা বলে হুশিয়ারী জানিয়েছে জামায়াত মনোনিত প্রার্থী এড. এয়াকুব আলী চৌধুরী। বক্তারা বাংলার জমিন দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত হবে মন্তব্য করে আরো বলেন, এদেশে সাধারন মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। বিগত ১৭ বছর নির্বাচন হরণ করেছিলো। সেই ফ্যাসিস্টরা আর কোন দিন মাথাচারা যেন দিতে না পারে সে জন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
এতে বক্তারা বলেন, বিএনপি এখন জনপ্রিয়তা হারিয়ে জামায়াতকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে। আপনাদের মিথ্যাচার বাদ দিয়ে জনপ্রিয়তা যাছাই করার পরামর্শ দেন বক্তারা। সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, পিআর পদ্ধতিতেই আগামী নির্বাচনের উপর গুরুত্বরোপ করে বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করার পাশাপাসি সে আদেশের উপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করার দাবি জানিয়ে ৫ দফা গণদাবি’র কথা তুলে ধরেন বক্তারা।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর উপজেলার জামায়াত এর আমীর মো: ইলিয়াছ এর সঞ্চালনায় এতে খাগড়াছড়ি জেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন এর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন,জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এড. এয়াকুব আলী চৌধুরী। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খাগড়াছড়ি জেলা সহকারী সেক্রেটারী মোহাম্মদ ইউসুফ,শিক্ষক প্রতিনিধি অধ্যক্ষ মো: আবুল হোসেন,খাগড়াছড়ি জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
এছাড়াও এতে অংশ নেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী মিনহাজুর রহমান,খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আব্দুস সাত্তারসহ নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
নির্বাচানের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি না হলে জুলাই যোদ্ধাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়ার সুযোগ থাকবে বলেও এতে জানান বক্তারা।
এছাড়াও পিআর পদ্ধতির কথা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, আর কোন দিন যেন দুর্নীতি ফিরে না আসে এবং দিনের ভোট রাতের না হতেই জামায়াত মাঠে স্বোচ্ছার আছে। এবারের নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে দাবি তুলে ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন বক্তারা।


















