জুরাছড়ি ২৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯৪ জন জাতীয় করণ করেছে সরকার।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বিদ্যালয়–১ অধিশাখার উপ সচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেনের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কৌশিক চাকমা।
জানা গেছে, এইচআইডি–সিএইচটি, ইউএনডিপির সহযোগিতার পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সৌলিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে জুরাছড়ি উপজেলায় ২৫টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে।
পরবর্তীতে র্দীঘ বছর কমিউনিটি চার জন শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে বিদ্যালয় গুলো সচল রাখে। ২০১৭ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় শাখা ১ এর উপ সচিব মোহাম্মদ হিরুজ্জামানের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিদ্যালয় গুলো জাতীয় জাতীয় করণ করা হয়। তবে সে সময় বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকগণ জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়নি।
আমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শুভ দর্শী চাকমা জানান, দীঘ দিন অপেক্ষা হলেও সরকার আমাদের জাতীয় করণ করেছে। আমরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।
শুধু শুভর্দশী নয়, ২৫ টি বিদ্যালয়ের ৯৪ জন শিক্ষক অভাবের মধ্যেও খুশিতে আত্ম হারা। তারা সবাই সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা বলেন, দীঘ বছর ধরে ২৫ টি বিদ্যালয়ে ৯৪ জন মিক্ষক কত যে মানবেত জীবন যাপন করেছে- না দেখে বুঝার উপায় নেই। তবে কিছু অপেক্ষা হলেও জাতীয় করন হয়েছে। এজন্য সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ, একই সাথে জাতীয় করণ কৃত শিক্ষকদের অভিনন্দন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কৌশিক চাকমা জানান, সরকারি ভাবে আমরা মেইল পেয়েছি। দিক নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।
জুরাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টু চাকমা জাতীয় করণ কৃত শিক্ষকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা জাতীয় করণ কৃত শিক্ষকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এদিকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য প্রবর্তক চাকমা জাতীয় করণ কৃত সকল শিক্ষকদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে নিয়মিত পাঠদানে নিজেদের নৈতিকতা কাজ করার আহ্বান জানান।