চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত রাঙামাটির দুই ফায়ার ফাইটারকে রাষ্ট্রীয় সালাম দিয়েছেন রাঙামাটি ফা্য়ার স্টেশনের সদস্যরা। নিহতদের ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান।
বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত রাঙামাটির দুই ফায়ার ফাইটারের মরদেহ রাঙামাটিতে পৌছে সোমবার ভোরে।
ভোর ৫ টায় রাঙামাটি শহরে পশ্চিম ট্রাইবেল আদামে পৌছে ফায়ার লিডার মিঠুর মরহেদ। একই সময়ে কলেজ গেটের মন্ত্রী পাড়ায় পৌছে আরেক ফায়ার লিডার নিপনের মরদেহ।
তাদের শেষ দেখা দেখতে আসেন তাদের স্বজন, বন্ধু বান্ধব ও রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা।
সকাল ৯ টায় রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের সহকারী পরিচালক মো. রফিক পশ্চিম ট্রাইবেল আদামে নিহত লিডার মিঠু দেওয়ানের বাড়িতে যান। এসময় পরিবারকে সান্তনা দেন রফিক। এ সময় তিনি মিঠু দেওয়ানের স্ত্রী মহিনী দেওয়ানের হাতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা সহায়তা তুলে দেন।
এদিকে সকাল ১০ টায় রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে আনা হয় নিপন আর মিঠুর মরদেহ। সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান। পরে নিহত দুজনকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানা নিহত নিপন কিছুদিন আগে পদোন্নতি পেয়ে রাঙামাটি থেকে সীতাকুন্ডে যোগ দেন। অন্যদিকে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে কর্মরত ছিলেন মিঠু। পদোন্নতি পেয়ে তিনিও যোগ দেন সীতাকুন্ডে কুমিরায়। সেখানে আগুন নেভাতে প্রাণ হারান ৭ সহকর্মী সহ তারা।
মিঠু দেওয়ানের ছোট ভাই বিটু দেওয়ান বলেন, ভাইয়ের দেহটি শনাক্ত করতে বেশ কষ্ট হয়েছে। মাথা পুড়ে গেছে। পা পুড়ে গেছে। শরীর দেখে নিশ্চিত হয়েছি এটা আমার ভাই। এদিকে নিপনের ছোট ভাই খোকন চাকমা বলেন, আমার ভাই নিপনকে দেখা মাত্র আমি চিনেছি।
নিজেদের ধর্মীয় রীতি অনুসারে নিপনকে আসামবস্তি শ্বশানে এবং মিঠুকে রাঙাপানি শ্বশানে দাহ করা হবে জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা।
শেষকৃত্যের জন্য জেলা ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার টাকা।
নিপন চাকমার দুই মেয়ে পড়াশুনা করছে। স্ত্রী বেসরকারী চাকরী করছেন। অন্যদিকে মিঠু দেওয়ানের এক মেয়ে পড়াশুনা করছে। স্ত্রীর নেই কোন চাকুরী।