রাঙামাটিতে সরকারী বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অধিগ্রহণকৃত ভূমির জন্য ক্ষতিপুরণ তহবিলে আসা টাকাগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের দিচ্ছে না রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
তহবিলে জমি মূল্যর ক্ষতিপুরণ ৫০% আসলেও ১৫% দিয়ে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের। বাকী ৩৫% টাকা পেতে হাইকোর্টে যেতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে জেলা প্রশাসন থেকে। রাঙামাটিতে প্রায় ৮০ কোটির বেশী টাকা ক্ষতিপুরণ তহবিলে পড়ে আছে।
চট্টগ্রাম পার্বত্য জেলা (ভূমি অধিগ্রহণ) আইন ১৯৫৮ অনুযায়ী পাহাড়ে সরকারী প্রকল্পে ভুমি অধিগ্রহণে অতিরিক্ত ক্ষতিপুরণ ছিল ১৫%। সমতলে প্রযোজ্য আইনে অতিরিক্ত ক্ষতিপুরণ ছিল ৫০%।
পাহাড়ে জনসংখ্যা ও ভুমির মূল্য বৃদ্ধি, ভুমি অধিগ্রহণ আইন পরির্বতন ( ১৯৮২ অধ্যাদেশ, ১৯৯৭ ভুমি অধিগ্রহণ ম্যানুয়েল) মুলে পাহাড়ে ভুমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপুরণে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার সুপারিশ করে ২০১০ সালে ১৭ জুলাই তৎকালীন জেলা প্রশাসক সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী ভুমি মন্ত্রনালয়ে চিঠি লিখেন।
এরপর থেকে রাঙামাটিতে ভুমি অধিগ্রহণে অতিরিক্ত ৫০% ক্ষতিপুরণ দেয়া হয়। তারমধ্যে ছিল কাপ্তাই থানা ভুমি অধিগ্রহণ, ফরেনার্স চেক পোস্ট, রাঙামাটি সিজিএম আদালত, রাঙামাটি দুদক কার্যালয়, রাঙামাটি ১৩২/৩৩ কেভি বিদ্যুৎ গ্রীড উপকেন্দ্র, রাঙামাটি পাবলিক লাইব্রেরী অন্যতম। পার্শবর্তী দুই পার্বত্য জেলায়ও এ অনুযায়ী ক্ষতিপুরণ দেওয়া শুরু হয়। রাঙামাটিতে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এ নিয়মে ক্ষতিপুরণও প্রদান করা হয়।
পুর্বের ন্যায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে সরকার রাঙামাটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজের মত জেলা উপজেলায় কয়েকটি বড় প্রকল্পে সরকার অতিরিক্ত ক্ষতিপুরণ ৫০% বরাদ্ধ দেয়। জেলা প্রশাসনের কাছে এসব অর্থ জমা পড়লে ক্ষতিগ্রস্তদের দিতে গড়িমসি শুরু করে তৎকালীন জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশীদ।
৫০% বিপরীতে মাত্র ১৫% ক্ষতিপুরণ দিয়ে বাকী অর্থ পরে দেওয়া হবে বলে বিদায় করে দেয়া হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থদের। পরবর্তীতে এ অর্থের জন্য গেলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে। এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় জটিলতা।
রাঙামাটি সদরের মানিকছড়ি এলাকার জিন্দাধন তঞ্চঙ্গ্যা (৪১) বলেন, ২০১৮ সালে রাজস্থলী উপজেলায় আমার ৭০ শতক জমি উপজেলা চেয়ারম্যান বাসভবনের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়। ক্ষতিপুরণ বাবদ আমার নামে সরকার যে ক্ষতিপুরণ বরাদ্ধ দেয় সেগুলো সম্পুর্ণ অংশ দেয়া হয়নি। এখন হাইকোর্টে যেতে বলা হচ্ছে। এখন কি করব বুঝতে পারছি না।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, জিন্দাধনের মোট ক্ষতিপুরণ ৩৩ লাখ ৩ হাজার ৯ শত ৮৯ দশমিক ১০ টাকা টাকা ২০১৮ সালে ১১ ডিসেম্বরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ তহবিলে জমা হয়। তৎকালীন রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ টাকা রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের ক্ষতিপুরণ তহবিল (কোড নং ৬-০৭৪২-০০০০-৮৪০১) এ জমা প্রদানে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আদেশ দিয়েছিলেন। এ টাকা জমা হবার পর ২০১৯ সালে ১ এপ্রিল রাঙামাটি জেলা প্রশাসন থেকে মাত্র ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩শ ৯০ দশমিক ৫০ টাকা প্রদান করা হয়।
জিন্দাধন তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, তখন বলা হয়েছিল অবশিষ্ট টাকা পরে দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে উচ্চ আদালত থেকে আমার পক্ষে রায় নিয়ে আসতে। তারপর নাকি দেওয়া হবে। খোঁজ নিয়ে হিসাব করে দেখেছি। যে টাকা পাব আদালতে গেলে তার দ্বিগুণ টাকা খরচ হবে। এ টাকার আশায় একটি ঘর করব ভেবেছি। কিন্তু টাকাগুলো না পেলে ঘরই তুলতে পারব না।
রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শিল্পী রানী রায় বলেন, জিন্দাধন আর টাকা পাবে না। যা পাবে সেগুলো তাকে দেওয়া হয়েছে। তার নামে আসা অবশিষ্ট টাকাগুলোর ভবিষ্যত কি হবে তা সরকার বুঝবে। আমি বুঝব না। আদালত থেকে নিজের পক্ষে রায় নিয়ে আসতে পারলে টাকা দেওয়া হবে। তাকে হাইকোর্টে যেতে হবে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, জিন্দাধনের মত আরো শত জন আছে। শুধু রাঙামাটিতে ৮০ কোটি টাকার বেশি অর্থ পড়ে আছে। তিন পার্বত্য জেলায় একশ কোটির উপরে টাকা পড়ে আছে। এ টাকা যদি ক্ষতিগ্রস্থরা ব্যাংকেও জমা রাখলে এতদিনে অনেক সুদ পেত। ক্ষতিগ্রস্তদের হয়রানী না করে টাকা তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া দরকার। এতে চরম অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রাঙামাটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ, রাজস্থলী উপজেলা চেয়ারম্যান বাস বভবন, বাঘাইছড়ি ফায়ার সার্ভিস, নানিয়াচর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, খেপ্পেপাড়া বিআরটিএ কার্যালয়সহ আরো অনেক প্রকল্পের অধিগ্রহণের ক্ষতিপুরণের ৩৫% টাকা পড়ে আছে।
প্রীতি মিলন চাকমা (৪৫) বলেন, ২০১৫ সালে ঝগড়াবিল মৌজায় আমাদের ১০৫ জনের ৬৪ একর ভূমি রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে অধিগ্রহণ করা হয়।
আমাদের ভূমি অধিগ্রহণে অতিরিক্ত ক্ষতিপুরণ নির্ধারণ করা হয় ৫০%। এটা জেলা প্রশাসনই নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসন আমাদের মাত্র ১৫% দেয়। বাকী টাকা পেতে আমরা ৫১ জন মিলে উচ্চ আদালতে গিয়েছি। আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিলে আমাদের ক্ষতিপুরণ দেওয়া হয়। তবুও ডিসি অফিসে আমাদের টাকা দিতে হয়েছে। আমাদের রায় আনতে গিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রীতি মিলিন বলেন, আমাদের ভূমির উপর এতবড় প্রতিষ্ঠান হল। এ প্রতিষ্ঠানে আমাদের পরিবারের সদস্যদের চাকুরীর অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা। বড় পদের কথা বাদ, পিয়নের চাকুরীর যোগ্যতা তো আছে। পদ্মা সেতুর ক্ষতিগ্রস্তদের জামাই আদর করা হয় আর আমাদের করা হয় হয়রানি। এ প্রকল্পে বাকী ৫৪ জনকে এখনো তাদের অবশিষ্ট ক্ষতিপুরণ দেয়া হয়নি।
মনীন্দ্র চাকমা (৪৪) বলেন, আমাদের ক্ষতিপুরণের মাত্র ১৫% দেওয়া হয়। বাকীগুলো চাইতে গেলে আমাদের প্রত্যককে হাইকোর্টে গিয়ে রায় আনতে বলা হচ্ছে। আগেও বলা হয়েছিল। এখনো বলা হচ্ছে।
রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত দীপেন দেওয়ান বলেন, ক্ষতিপুরণ বাবদ আমার ৭৮ লাখ ২৫ হাজার ৮২৫ টাকা জমা আছে। কিন্তু দেওয়া হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সাবেক রাঙামটি জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশীদ বলেন, যারা উচ্চ আদালত থেকে রায় আনতে পেরেছে তাদেরকে সম্পুর্ণ টাকা দিয়েছি। বাকীরাও যদি রায় আনতে পারত তাহলে দিতাম। এখন আমার পরামর্শ হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যকে উচ্চ আদালতে যাক।
রাঙামাটির সিনিয়র আইনজীবী প্রতিম রায় পাম্পু বলেন, আমলারা যা শুরু করেছে এটা এক কথায় মানুষকে হয়রানি করা। ক্ষতিপুরণ তো জেলা প্রশাসনই নির্ধারণ করেছে। এর ভিত্তিতে সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপুরণের অর্থ ছাড় করেছে। এ অর্থ কারোর করুনার নয়। যে অযুহাতে ক্ষতিপুরণ দেওয়া হচ্ছে না তাহলে আগে সেব জেলা প্রশাসকরা কি দুর্নীতি করেছে? করলে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হোক।
হাইকোর্ট থেকে যারা রায় এনেছে তাদের ক্ষতিপুরণের সম্পুর্ণ অংশ দেওয়া হয়েছে। এ রায়ের ভিত্তি করে তো অন্যান্যদের টাকাগুলো দেওয়া যায়। একই প্রকল্পে একজনের রায় হলে সে রায়ের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক অর্থগুলো দিতে পারে। কিন্তু সেটা না করে ক্ষতিগ্রস্তদের গণহারে হাইকোট দেখানো শুরু করেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান বলেন,
ক্ষতিপুরণের সম্পুর্ণ অংশ না দিতে প্রশাসন যেসব যুক্তি দেখাচ্ছে এগুলো প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ পায়।
অতীতে অভিজ্ঞতায় বলতে পারি বিগত সময়ে উন্নয়ন প্রকল্পের নামে যেখানে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের ঠিকমত ক্ষতিপুরণ প্রদান করা হয়নি। অনেকে তো ক্ষতিপুরণই পায়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের ভূমি বিষয়ে রীতি নীতি প্রথা মানা হয়নি। যে ব্যাক্তি যুগ যুগ ধরে যেখানে বসাবাস করে এসেছিল সে কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ভূমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কোন ক্ষতিপুরণ দেওয়া হয়নি। ক্ষতিপুরণ প্রদানের নামে নানান হয়রানি করা হয়েছে। সেটি এখনো লক্ষ্যনীয়। এসব কর্মকান্ডের কারণে পাহাড়ের মানুষ উন্নয়ন বললে পায়। উন্নয়ন আতংকে ভুগে।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মনিরুজ্জামান মহসিন রানা বলেন,
সেনানিবাস সম্প্রসারণে আমার ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। তিন বছর আগে জেলা প্রশাসনের ভুমির অধিগ্রহণ শাখা কর্তৃক ভুমির মুল্য নির্ধারণ ছিল প্রতি শতাংশ ১ লাখ ৪০ হাজার। আমরা সে হিসাবে ক্ষতিপুরণ দাবী করেছিলাম। বিগত জেলা প্রশাসক মোট ক্ষতিপুরণে আমার কাছে ১০% ঘুষ চায়। রাজি না হওয়ায় তিনি দাম কমিয়ে দিয়ে প্রতি শতকে মাত্র ৫৭ হাজার টাকা ভুমির মুল্য নির্ধারণ করে দেয়। এ হল অবস্থা।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন,অতীতে যেসব জেলা প্রশাসক ৫০% অতিরিক্ত ক্ষতিপুরণ দিয়েছেন তারা হয়ত না জেনে দিয়েছেন। এটার আইনে ছিল না। এটি হয়ত বিগত জেলা প্রশাসকের নজরে পড়েছে সেজন্য হয়ত ক্ষতিপুরণ আটকে দিয়েছে। আমিও সেটি অনুসরণ করব। আমরা ক্ষতিগস্তদের টাকাগুলো দিব না। প্রয়োজনে টাকাগুলো ফেরত যাবে। তবে এটা ঠিক টাকাগুলো ফেরত গেলে ক্ষতিগ্রস্তদের আরো ক্ষতি হবে। তারা তো জায়গা হারিয়ে এমনিতে ক্ষতিগ্রস্ত। আমাদের কাছে জমা থাকা ক্ষতিপুরণের অবশিষ্ট ৩৫% টাকাগুলো কি করা হবে তার জন্য আমি অন্য দুই জেলা (বান্দরবান,খাগড়াছড়ি) প্রশাসকের সাথে কথা বলে দেখব।
চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন,
পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী সত্বা সংরক্ষনের জন্য এ এলাকায় জমি কেনা বেচার ক্ষেত্রে আইনে বাধা নিষেধ আছে। যে কেউ যদি এ এলাকায় জমি কিনতে পারলে তবে ভূমির মূল্য অনেক বেড়ে যেত। যেহেতু বিধি নিষেধ আছে সেহেতু এখানকার জমির মূল্য নির্ধারণের এখানকার আদিবাসীদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। ভূমির ক্ষতিপুরণ মুল্য বাড়ানো উচিত। সমতলে ২০০% হলে পার্বত্য এলাকায় ৫০০% হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু করা হয়নি। বিপরীতে খুব কম ক্ষতিপুরণ মূল্য ধরা হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্তরা নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রানালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও রাঙামাটি আসনের সংসদ দীপংকর তালুকদার বলেন,
তিন পার্বত্য জেলায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ভূমি অধিগ্রহণ আইন সংশোধনের আগে পার্বত্য জেলায় ভূমি অধিগ্রহণে যাদের অতি ক্ষতিপুরণ ৫০% দেওয়া হয়েছিল এগুলোর ৩৫% পড়ে আছে। অনেককে ক্ষতিপুরণের সম্পুর্ণ অংশ দেওয়া হলেও অনেককে এখনো পায়নি। এ টাকাগুলো কেন দেওয়া হবে না এটা আমারও প্রশ্ন। এগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের দিতে হবে। এগুলো দিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রানালয়ের সর্বশেষ বৈঠকে আমরা সুপারিশ করেছি। যার যত ক্ষতিপুরণ বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে সেগুলো যেন দেওয়া হয় আগামী বৈঠকেও আমরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে সুপারিশ করব।