রাঙামাটির দুর্গম অঞ্চলের ৮ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে কাজ করছে সুবর্ণ ভূমি ফাউন্ডেশন। বন্ধ হবার মূখে থাকা এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন, প্রশিক্ষণ, স্কুল অবকাঠামো মেরামত, শিশুদের শিক্ষা বৃত্তি ও সুস্বাস্থ্যে বিষয়ক উপকরণ দিচ্ছে সংস্থাটি। সংস্থাটি চায় শিক্ষা ঝড়ে পড়া রোধ করা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে ।
বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটির উদ্যোগ সেন্টারে ৮ বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষকদের নিয়ে ৭ দিন ব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সুবর্ণ ভূমি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী পরিচালক ডা. শামীম ইমাম।
ডাক্তার শামীম ইমাম বলেন, আমরা দুর্গম এলাকার শিশুদের স্কুলমুখী করতে সাপ্তাহে দুদিন দুপুরের খাবার ব্যবস্থা করি। আমরা চাই পাহাড়ের শিশুরা পিছিয়ে না থেকে সামনে এগিয়ে যাক। আরো বিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছা থাকলেও সীমাবদ্ধতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। সুবর্ণ ভূমি ফাউন্ডেশন যতদিন এসব বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতায় আসবে না ততদিন এ সাপোর্ট দিয়ে যাবে।
কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য প্রিয় নন্দ চাকমা। এ সময় তিনি বলেন, দুর্গমতা ও যোগাযোগে সংকটের কারণে রাঙামাটি জেলায় ৮৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতায় আসেনি। এগুলো কিভাবে জাতীয়করণের আনা যায় সে ব্যাপারে জেলা পরিষদ, পার্বত্য মন্ত্রণালয় একসাথে কাজ করছে।
বিশেষ অতিথি রাঙামাটি জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পরিণয় চাকমা বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দায়িত্ব কর্তব্য নিয়ে সচেষ্ট থাকার অনুরোধ করে বলেন, এসব দুর্গম এলাকায় শিক্ষকরা ছাড়া শিশুদের পড়াশোনা করানোর কেউ নেই। সেজন্যে বিদ্যালয়ে শিশুদের যথাযথ পাঠদানের অনুরোধ করেন।
কর্মশালা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুবর্ণ ভূমি ফাউন্ডেশনের রাঙামাটি জেলা সমন্বয়ক মানবাশীষ চাকমা।