সাজেকে ভূমি বেদখলের প্রতিবাদে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা সাজেক ইউনিয়নের
বাঘাইহাট দোপাদা এলাকা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে।
সোমবার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সাজেক
ইউনিটের উদ্যোগে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
সকাল সাড়ে নয় টার দিকে রেতকাটা, বনবিহার এলাকা থেকে শত শত মানুষ বিক্ষোভ মিছিল সহকারে দোপাদা এলাকায় জোড়ো হন। পরে দোপাদা মাঠে বিক্ষোভ ও সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
ইউপিডিএফের সাজেক ইউনিটের সংগঠক সুনেন্টু চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন,
ইউপিডিএফর সদস্য সুমন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অসেন্টু চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাজেক শাখার সভাপতি কালো বরণ চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি নিউটন চাকমা ও পার্বত্য নারী সংঘের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রূপসী চাকমা প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভূমি
সমস্যা। এদেশের শাসকগোষ্ঠি পরিকল্পিতভাবে লাখ লাখ বাঙালিকে অনুপ্রবেশ
ঘটিয়ে তাদেরকে পাহাড়িদের জায়গায় পুনর্বাসনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে এই ভুমি সমস্যাকে জটিল করে তুলেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার আদায়ের ন্যায্য আন্দোলন দমনের লক্ষে সরকার পাহাড়িদের ওপর নিপীড়ন- নির্যাতন ও ভুমি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। সাজেকসহ গোটাপার্বত্য চট্টগ্রামে এখন ভুমি আগ্রাসন চলছে। সরকারের প্রতিশ্রুতি ও পার্বত্য চুক্তি মোতাবেক ভারত প্রত্যাগত জুম্ম শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ জুম্ম উদ্বাস্তুুদের পুনর্বাসনে সরকার এখনো সঠিক কোন উদ্যোগ নেয়নি। ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীরা এখনো তাদের ভিটেমাটি ও জমিজমা ফেরত পায়নি।
বক্তারা আরো বলের সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবানের লামা উপজেলায় লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কর্তৃক প্রশাসনের সহযোগিতায় ম্রো ও ত্রিপুরাদের ৪০০ একর জুমভূমি জবরদখল করে সেখান থেকে তাদেরকে উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানান বক্তারা।