শুক্রবার , ১২ জুলাই ২০২৪ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

আগামী মাসেই শুরু হচ্ছে রামগড় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম: চেয়ারম্যান স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ

প্রতিবেদক
বিশেষ প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি
জুলাই ১২, ২০২৪ ৬:৫০ অপরাহ্ণ

আগামী মাসেই (আগস্টে) ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করতে চায় রামগড় স্থলবন্দর। যদিও কয়েক দফা ঘোষণার পরেও কথা রাখতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে এবার ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌছেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, সীমান্তের ১৫০ গজের ভেতর হওয়ায় বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের জন্য ভারতের অনাপত্তিপত্র সময়মতো না পাওয়ায় স্থলবন্দরের প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনার নির্মাণকাজ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। যার ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হতে দেরি হয়। সেসব সমস্যা সমাধান হয়ে যাওয়ায় নতুন করে স্টিল স্ট্রাকচারে নির্মিত হচ্ছে চারতলা বিশিষ্ট স্থলবন্দর প্রশাসনিক ভবন ও দোতলা ইমিগ্রেশন ভবন। তবে, অবকাঠামো নির্মাণে সময় লাগলেও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করতে প্রস্তত বন্দর কর্তৃপক্ষ।

পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রামগড় স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মো. সরোয়ার আলম, ইউএনও মমতা আফরিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমত জাহান তুহিন, রামগড় ৪৩ বিজিবির সহকারি পরিচালক রাজু আহমেদ, স্থলবন্দর ইনচার্জ আফতাব উদ্দিন, প্রকৌশলী রুহুল আমিন, অফিসার ইনচার্জ দেব প্রিয় দাসসহ অনেকে।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে উদ্বোধনের জোরালে সম্ভাবনার বিষয়টি আলোচিত হয় এবং সেই লক্ষ্যেই দ্রুত ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণসহ অন্যান্য সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়। তবে, এরপর বেশ কয়েকমাস অতিবাহিত হলেও আলোর মুখ দেখেনি রামগড় স্থলবন্দর কিংবা ইমিগ্রেশন। যদিও ভারতের সেভেন সিস্টার্সখ্যাত উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য অরুণাচল, আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে রামগড় ও ত্রিপুরার সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর উদ্যোগ নেয় এই দুই দেশ। তারই অংশ হিসেবে সরকার ২০১০ সালে রামগড়কে স্থলবন্দর ঘোষণা দেয়।

রামগড় স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মো. সরোয়ার আলম জানান, শুরু থেকে রামগড় ইমিগ্রেশন নামকরণ করা হলেও গত বছরের ১৪ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রামগড় স্থলবন্দরের এই ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন নামকরণ করেন ইন্টারন্যাশনাল প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, রামগড়।

রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন জানান, রামগড় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশের মানুষ রামগড় ও সাব্রুম সীমান্ত পথে ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন। একইভাবে ভারতের ত্রিপুরাসহ আশেপাশের রাজ্যের মানুষও এ সীমান্ত পথে বাংলদেশে ভ্রমণে আসতে পারবেন। দক্ষিণ ত্রিপুরার মহকুমা শহর সাব্রুম থেকে ইতিমধ্যে আগরতলা পর্যন্ত রেল সার্ভিসও চালু করা হয়েছে বলে জেনেছি। ওখানে মহাসড়কেরও উন্নয়ন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের জানুয়ারিতে দিল্লি সফরকালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে বৈঠকে রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর যৌথ সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের মধ্যে ট্রানজিট সুবিধা, যাতায়াত ব্যবস্থা সহজতর করা এবং আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নামে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির ভিত্তি প্রস্থর ফলক উন্মোচন করেন। ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
%d bloggers like this: