লাখো মানুষের সাধুবাদের মধ্যে দিয়ে শেষ হল রাঙামাটির রাজবন বিহারে ৪৯ তম কঠিন চীবর দান।
শুক্রবার বিকালে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোমর তাতের মাধ্যমে তৈরি কঠিন চীবর রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ও বনভান্তের শিষ্য প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরের হাতে তুলে দেন চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় । এ সময় লাখো পূণ্যার্থীর সাধুবাদে মুখরিত হয় রাজবন বিহার এলাকা।
এরে আগে পূণ্যার্থীরা বুদ্ধ ভিক্ষুদের কাছে পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন। পুণ্যার্থীদের পক্ষে ভিক্ষুসংঘের কাছে পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়।
এ ধর্ম অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দেশের শান্তি ও মঙ্গল কামনা করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে শুরু হওয়া দুই দিনের ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র রাঙামাটিতে ভিড় করেন দেশ বিদেশের লাখো পূণ্যার্থী। চীবর দান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জাহিদুল আলম, রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী।
তথাগত গৌতম বুদ্ধের সময় ২৪ ঘন্টার তুলা থেকে সুতা কেটে চীবর তৈরি করে বুদ্ধ ও শিষ্যসংঘকে দান করেন বিশাখা নামে এক পূণ্যবতি। ১৯৭২ সালে রাঙামাটির লংগদুতে পরিনির্বাপিত বনভান্তে সর্বপ্রথম এ রীতিতে কঠিন চীবর দান প্রচলন করেন। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে এ রীতিতে চীবর দান করছেন পাহাড়ের বৌদ্ধধর্মালম্বীরা। বৌদ্ধদের বিশ্বাস কঠিন চীবর দানের কারণে সুখ শান্তি অর্জনের পাশপাশি পরবর্তী জন্মে সুখ লাভ করা যায়। করোনার কারণে গত দু বছর কোথাও এ রীতিতে কঠিন চীবর দান করা হয়নি। দু বছর পর এ অনুষ্ঠান বণ্যার্ঢ্য আয়োজনে উদযাপন করা হয়।