পাহাড়ের বিভিন্ন গাছ, লতা, পাতায় নানান ঔষধিগুণ রয়েছে। এসব বনজ ঔষধির উপর এক সময় নির্ভরশীল ছিল পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। এসব ঔষধি গাছ গাছালির উপর এখন স্মরনাপন্ন হয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর লোকজন। ভাঙা হার জোড়া লাগানো সহ অনেক রোগে বনজ ঔণধি ব্যবহার হয়। এতে অনেক রোগী সুস্থ হয়েছে এমন উদাহরণ অনেক।
কিন্তু এসব বনজ ঔষধির উপর কোনভাবে গবেষণা হয়নি। এগুলো গবেষণার প্রয়োজন। এজন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।
সোমবার সকালে রাঙামটি রাজবাড়ি মালেয়া ফাউন্ডেশনের হল রুমে তারুম ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে পাহাড়ে সনাতনী চিকিৎসা ও ঔষধি বনজ দ্রব্যনিয়ে তথ্য যাচাই ও প্রচারণা মুলক এক কর্মশালায় এ কথা বলেন বৈদ্যরা।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন স্থানীয় বৈদ্যরা। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রয়োজনীয় ঔষধি গাছ-গাছড়া প্রাপ্তির সহজলভ্যতা কমেছে।
এখন সহজে বনজ ঔষধি যেখানে সেখানে পা্ওয়া যায় না। তাছাড়া বনজি ঔষধি প্রয়োগে কোন নিয়ম না থাকায় প্রয়োগের ক্ষেত্রে পরিমাণ মত হয় না। এতে অনেক সময় সমস্যা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমীন । তারুম ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সদস্য নাইউপ্রু মারমা মেরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একডেমি পদকপ্রাপ্ত আদিবাসী গবেষক প্রভাংশু ত্রিপুরা। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তারুম ডেভেলপমেন্টের কর্মসুচি সমন্বয়ক প্রতিভা তঞ্চঙ্গা।