সোমবার , ৭ নভেম্বর ২০২২ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যান বারেক সরকারের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন আ.লীগ নেতাকে জুতাপেটার অভিযোগ

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
নভেম্বর ৭, ২০২২ ১০:৫০ অপরাহ্ণ

এবার নিজ দলের সাধারণ সম্পাদককে প্রকাশ্যে পিটিয়েছেন জুতা দিয়ে। হামলা করেছেন নিজের অনুগতদের নিয়েও। এমন অভিযোগে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন রাঙামাটির লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার।

সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লংগদু উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে ঘটে এ ঘটনা। ঘটনার প্রতিবাদে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পৃথকভাবে।

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থির বিরুদ্ধে নিয়েছিলেন অবস্থান। এ অপরাধে বিভিন্ন পদে থাকা আট নেতাসহ বহিস্কার হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে। সেই ‘দন্ড’ প্রত্যাহার না হওয়ায় এখনও ফিরে পাননি সেই পদ। এরইমধ্যে এমন ঘটনার জন্ম দেওয়ায় দলের মধ্যেই দেখা দিয়েছে অস্বস্তি। দেখা দিয়েছে দলীয় বিভক্তি।

হামলার শিকার হওয়া মাইনীমূখ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বেল্লাল হোসেন এখন ভর্তি আছেন রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে। তবে নিজের আত্নরক্ষার জন্য দুইতিনটা চড় মেরেছেন বলে স্বীকার করেন আব্দুল বারেক সরকার।

এঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে হামলাকারীদের গ্রেপতারে দাবি জানিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সুভাস চন্দ্র দাশ, সহ-সভাপতি ও সাবেক মাইনীমূখ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ও আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হুসেন আলী, জেলা পরিষদের সদস্য আসমা আক্তারসহ উপজেলা ইউনিয়নের বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় প্যাডে দপ্তর সম্পাদকের বরাতে লিখা সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বেল্লাল হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।অন্যথায় ‘কঠিন কর্মসুচি’ দেওয়ার হুশিয়ারিও জানানো হয়েছে।হামলার ঘটনা ও চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক জিয়াউল হক।

এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলা সদরে আব্দুল বারেক সরকারের ওপর হামলার অভিযোগ এনে তার পক্ষের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

ঘটনার বিষয়ে হামলার শিকার মো. বেল্লাল হোসেন জানান, ‘কমিটিতে জনৈক কর্মীর নাম রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকারের নিষেধের কথা বলেছি। বিষয়টি সে চেয়ারম্যানকে জানিয়েছে। তার জের ধরে আজ সকালে বারেক সরকার আমাকে কিলঘুশি ও পায়ের জুতা দিয়ে মারতে থাকে। পরে আশেপাশের লোকজন আমাকে রক্ষা করে’।

আব্দুল বারেক সরকার বলেন, ‘কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে বেলালের সাথে হাতাহাতি হয়। আমরা ওপর হামলা হলে এক পর্যায়ে আত্নরক্ষার্থে দুইতিনটা চড় মেরেছি। উত্তেজনার ফাঁকে আমার পকেটে রক্ষিত প্রায় তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। আমি মামলা করবো। এ ঘটনার নেপথ্যে উপজেলা সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবুর হাত থাকতে পারে’।

বাবুল দাশ বাবু বলেন, ‘আমি এলাকার বাইরে আছি। তবে বেলাল হোসেনকে বারেক চেয়ারম্যান পিটিয়েছেন, বিষয়টি নেতাকর্মীরা আমাকে জানিয়েছেন। এর আগেও বেলালকে আরও দুইতিনবার পিটিয়েছেন বারেক সরকার’।

রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আসমা আক্তার জানান, ‘তিন বছর আগের পুরাতন কমিটিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারির হয়েছে। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।

 

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: