খাগড়াছড়িতে মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু বৃত্তি প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের দায়িত্বকালে জেলার শিক্ষা-ক্রীড়া-সংস্কৃতি ও পর্যটন খাতে অভূতপূর্ব অবদানের কথা উল্লেখ করে তাঁর (ডিসি) ভূয়সী প্রশংসা করেন।
১৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টায় খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমুন আরা সুলতানা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৮৩ সালে খাগড়াছড়ি জেলা ঘোষণা হওয়ার পর থেকে অনেক ডিসি আসছেন গেছেন, কিন্তু বর্তমান জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস’র মতো অক্লান্ত পরিশ্রম কেউ করেননি। তিনি খাগড়াছড়িতে যোগদান করে দেখিয়ে দিয়েছেন, একজন ডিসির সদিচ্ছা থাকলে জেলাবাসীর জন্য কতো কাজ করা যায়। তাঁরই মেধা-মননে জেলার শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়াঙ্গন, সামাজিক, সরকারি-বেসরকারি প্রত্যেকটি খাতে খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন ঘটেছে। সমাজের দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে সরকারি সেবা নিশ্চিতে মাধ্যমে তিনি নিজেকে মানবিক দায়িত্ব পরায়ন কর্মকর্তা হিশেবে তুলে ধরতে পেরেছেন।
এসময় মঞ্চে বিশেষ হিশেবে খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, জেলার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক তরুণ কুমার ভট্টচার্য্য, খাগড়াছড়ি পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. শাহ আলম মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার উত্তম খীসা ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী দুর্জয় দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।
সহকারি কমিশনার মঞ্জুরুল আলম’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেছেন, বঙ্গবন্ধু’র নেতৃত্বে যে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি আমাদের জাতির পিতা। তাঁকে সর্বোচ্চ সম্মান করা নাগরিক দায়িত্ব।
তিনি বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকে যারা বৃত্তি পেয়েছে এবং যে সকল শিক্ষার্থীরা এখানে আছে ভবিষ্যতে এক একজন সমাজের উচ্চ পর্যায়ে চলে যাবে। তবে দেশের ইতিহাস এবং শেখরের কথা মনে রাখতে হবে।
তিনি জেলার মেধাবী প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে বিত্তবানদের আরো বেশি এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
উল্ল্যেখ, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দ্বিতীয় বারের মত খাগড়াছড়ি বিভিন্ন উপজেলার একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ১০ শিক্ষার্থীকে ৭ হাজার টাকা করে এবং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৬২ জন শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার টাকা করে বঙ্গবন্ধু বৃত্তি প্রদান করা হয়।