পার্বত্য চুক্তি ২৫ বর্ষপূর্তিতে রাঙামাটির জুরাছড়িতে নানান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) জুরাছড়ি সেনা জোনের অদ্বিতীয় দুই এর উদ্যোগে উপজেলা মাঠে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ শামুল হকের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ, থানার ওসি মোঃ শফিউল আজম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আল্পনা চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
রির্সোস সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মোঃ মরশেদুল আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কুসুমছড়ি মৌজার হেডম্যান মায়া নন্দ দেওয়ান, বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার অনন্যা চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা, বাজার সমিতির সভাপতি তপন কান্তি দে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার অনন্যা চাকমা বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির ফলে স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিংবা কমিউনিটি ক্লিনিকের পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ ও দক্ষ মেডিকেল অফিসার পদায়ন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শহরের এলাকার মোটই জুরাছড়ি মত দুর্গম এলাকায় ১০ জন সহকারি সার্জন দায়িত্ব পালন করছেন। দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারে করে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন সেনাবাহিনীর অবদানে পার্বত্য চট্টগ্রামে সুবাতাস বইছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির ফলে পাহাড়ের উন্নয়নের সু-বাতাস বয়ে আনছে। বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সম্মত না হলে পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদন সম্ভব ছিলনা। সেনা বাহিনীর অগ্রণী ভুমিকা রাখলেই পার্বত্য শান্তি চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়ন সম্ভব।
আলোচনা সভা শেষে উপজেলা পরিষদ থেকে
র্যালি বের করে থানা, যক্ষা বাজার প্রদক্ষিন করে শিশুপার্ক গেটে এসে শেষ হয়।
এদিকে পার্বত্য শান্তি চুক্তি উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, দরিদ্রদের সহায়তা, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে সেনা বাহিনী।