রাঙামাটির বিলাইছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথাগত নেতৃবৃন্দদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করার লক্ষে বিষয় ভিত্তিক কর্মশালাব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক, পার্বত্য চট্টগ্রাম -এর আয়োজনে সেন্ড(SEN)- এর সহযোগিতায় এই কর্মশালা করা হয়। এতে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেডম্যান নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা। আর অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১নং বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ১২০ নং সাক্রাছড়ি মৌজার হেডম্যান রমাকান্ত তঞ্চঙ্গ্যা(আমু), ১২১ নং কেংড়াছড়ি মৌজার হেডম্যান সমতোষ চাকমা , ১২২ নং কুতুব দিয়া মৌজার হেডম্যান সাধন চাকমা, ১২৭ নং কেরনছড়ি মৌজার হেডম্যান সুনিক জ্যোতি তালুকদার।
কর্মশালায় আর উপস্থিত ছিলেন অমরজীব কার্বারী, থুইপ্রু কার্বারী, প্রিয়জয় কার্বারী, কল্প কার্বারী, রুপ কুমার কার্বারী, মহিলা কার্বারী মল্লিকা চাকমা, ভরত চন্দ্র কার্বারী, জয় সিন্ধু কার্বারী, মঙ্গলী কার্বারী, নিহার কার্বারী, জুসেফ কার্বারী,চাঁন কুমার কার্বারী বিটুময় কার্বারী, ধলাচান কার্বারী সহ প্রায় ৫০ জনের অধিক কার্বারী উপস্থিত ছিলেন।
ধারণা দেওয়া হয় ১৯০০ সনে শাসন বিধি অনুসারে ১৯৮৯-৬ (১) ধারা মোতাবেক পার্বত্য জেলা পরিষদের আইন। এর আগে প্রথা রেগুলেশনের, ১৯৯৭ সালে চুক্তি মোতাবেক আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদ হিলট্রাক্ট ৪০ বিধি মোতাবেক ফৌজদারি আইন। যেমন -খুন,, মারামারি, রাহাজানি ইত্যাদি বড় ধরনের অপরাধ ছাড়া ছোট- খাটো সামাজিক বিচার – সালিশ, ধাবমান্য বিষয়ে কিভাবে সালিশ করবেন এবিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়।
এছাড়াও সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বাজায় রাখা, সকল প্রশাসনকে সহযোগিতা করা। এবং ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার উন্নয়নে কার্বারীদের সম্পৃক্ত করে উন্নয়ন তরান্বিত করতে একযোগে কাজ করার বিষয়টিও তুলে আনা হয়।