রাজস্থলীতে নিখোঁজ সালাউদ্দিনের উদ্ধারের দাবিতে বাঙ্গালহালিয়া নাগরিক পরিষদের ডাকে রাজস্থলী, চন্দ্রঘোনা ও বান্দরবান সড়কে (মঙ্গলবার, বুধবার, ) ৩৬ ঘন্টা ডাকা অবরোধের প্রথম দিন শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। বাঙ্গালহালিয়া সাপ্তাহিক বাজার মেলেনি।
২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোর ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ডাকা সড়ক অবরোধে রাজস্থলী থেকে কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। রাজস্থলী উপজেলায় বাস ষ্টেশন, রাজস্থলী বাজার, হ্নারামুখ, বড়ইতলা, ইসলামপুর বাজার, মুক্তিযোদ্ধা সড়ক, পাথরবন পাড়া, শফিপুর, বাঙ্গালহালিয়া বাজার, কাকড়াছড়ি সড়ক, আমতলা, বটতলা, ছাগল খাইয়া এলাকায় আন্দোলনকারীরা পিকেটিং করতে দেখা গেছে।
পিকেটিংগে নেতৃত্ব দেন আন্দোলন কমিটির সভাপতি এমদাদুল হক মিলন, পুলক চৌধুরী, সাবেক ইউপি সদস্য মোতালেব হোসেন, জয়নাল আবেদীন, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ইউপি সদস্য বাদশা আলমগীর, রেজাউল আলম, মিজানুর রহমান, মাসুম সরদার, মাসুম তালুকদার, কাইয়ুম হোসেন মিরাজ প্রমুখ।
নিখোঁজ সালাউদ্দিনের উদ্ধারের দাবিতে আন্দোলনে কর্মসূচি আলোকে বাঙ্গালহালিয়া সচেতন নাগরিক কমিটি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ রাজস্থলী উপজেলা চত্বর ও বাঙ্গালহালিয়া বাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে আন্দোলন কমিটির সভাপতি এমদাদুল হক মিলন বলেন শফিপুর এলাকায় বাসিন্দা সাবেক প্রয়াত মজিবুর রহমানের চতুর্থ ছেলে নিখোঁজ সালাউদ্দিন রাজস্থলী উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে আমতলী পাড়া নামক এলাকায় নিখোঁজ হয়েছেন। দীর্ঘ ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো তার কোন সন্ধান মিলেনি। তাই নিখোঁজ সালাউদ্দিনকে উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত নাগরিক কমিটি আরও কঠোর কর্মসূচি হাতে নিবেন বলে জানান।
আন্দোলনের ৩য় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ও বুধবার ৩৬ ঘন্টা সড়ক অবরোধের প্রথম দিনে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে।
রাজস্থলী থানার ওসি জাকির হোসেন বলেন, রাজস্থলীতে সচেতন নাগরিক কমিটির ডাকা হরতাল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। তবে নিখোঁজ সালাউদ্দিনের উদ্ধারের বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশ মোতাবেক তাকে উদ্ধারের জন্য সকল প্রকার কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে হরতাল অবরোধ শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে রাজস্থলী, বাঙ্গালহালিয়া আর্মি ক্যাম্পের সেনা সদস্যরা ও রাজস্থলী, চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ বেশ কয়েকটি স্থানে কঠোর অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।