খাগড়াছড়িতে যৌতুকের টাকার জন্য গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে মারার মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড ও ২ জনকে যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাং আবু তাহের এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী হলো নিহত গৃহহবধূ হালিমা বেগমের স্বামী আব্দুর রশীদ।
যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামীরা হলেন, শ্বশুর সাহেব আলী ও তার শ্যালক (সাহেব আলীর) সিরাজুল ইসলাম।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুইজনকে ৫ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, ভিকটিম হালিমা বেগমকে যৌতুকের জন্য প্রায় সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত আসামীরা।
২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে হালিমা বেগমের হাত পা বেধে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
এতে শরীরের বিভিন্ন অংশে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের মা হাসিনা বেগম মাটিরাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ ও নিহতের পরিবার।