২০১৯ সালের ১৮ মার্চ ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন শেষে বাঘাইহাট হতে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরে ফেরার পথে ৯ কিলো নামক এলাকায় দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে ঘটনস্থালে ৬ ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১জন মৃত্যু বরণ করেন। নিহত ৭ জন শহীদের স্মরণে উপজেলা পরিষদ ভাবনের সামনে নির্মিত হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ।
বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা ও নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তারের উদ্যোগে স্মৃতিস্তম্ভ টি নির্মিত হয়।
বুধবার (৮নভেম্বর) দুপুরে স্মৃতিস্তম্ভে দাঁড়িয়ে শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম ও সাগরিকা চাকমা, ইউপি চেয়ারম্যান অলিভ চাকমা, আপন চাকমা, বিল্টু চাকমা, নির্বাচন অফিসার চৈতালী চাকমা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমান প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার বলেন, আমি বাঘাইছড়ি উপজেলার সাথে ভালোভাবে পরিচিত হয়েছি ২০১৯ সালের ১৮ মার্চের নির্বাচনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এরমধ্যে বাঘাইছড়িতে এসে অনেকের দাবী পেলাম সেই ঘটনায় নিহতদের স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের আগ্রহে অবশেষে নির্মিত হলো স্তম্ভটি।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে নিহতদের পরিবারের দাবী এবং আমাদের উদ্যোগ ছিলো একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের অবশেষে আজ নির্মিত হলো। আমাদের ভালো লাগছে শহীদদের নাম বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারবে।
শহীদ মিহির কান্তি দত্তের ছেলে পিয়াল দত্ত বলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউ এন ও মহোদয়ের প্রচেষ্টায় আমাদের দাবীটি পূর্ণ হলো এখন অন্তত প্রতি বছর তাদের স্মরণে একটু দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবো।