শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার ধারাবাহিকতায় বাংলা নববর্ষ এবং বৈসাবি উৎসব উপলক্ষে প্রত্যাগত শান্তি বাহিনীর সদস্যদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০এপ্রিল) দুপুরে খাগড়াছড়ি ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে সদর দপ্তর ২০৩ পদাতিক বিগ্রেড ও খাগড়াছড়ি রিজিয়ন এ আয়োজনে করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সেনাবাহিনীর রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ মাহি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার চেষ্টা করছে জীবনমান উন্নয়নে স্থানীয়দের সাথে কাজ করতে। স্থানীয়দের মাঝে ঐক্যের সম্প্রীতির মাধ্যমে উন্নয়ন করতে। শুরু থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী নিরাপত্তার পাশাপাশি শান্তি-সম্প্রীতি উন্নয়নে কাজ করছে, করে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
এসময় প্রত্যাগত শান্তিবাহিনী সদস্যদের জীবনমান উন্নয়নে গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবসম্মত প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারে সাধ্যমতো চেষ্টা করবে বলে আশ্বাস দেন ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও প্রত্যাগত শান্তি বাহিনীর সদস্য শুভ মঙ্গল চাকমা, খাগড়াছড়ি উপজাতীয় ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও প্রত্যাগত শান্তি বাহিনীর সদস্য রবি শংকর তালুকদার।
এসময় তারা দু’জনে (শুভ মঙ্গল ও রবি শংকর) বলেন, আত্মসমর্পনের আগে সেনাবাহিনী আমাদের শত্রু, পরে আত্মসমর্পণের পরে এরাই আমাদের বন্ধু। পাহাড়ের নিরাপত্তার পাশাপাশি শান্তি ও সম্প্রীতি উন্নয়নে এমন উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায় তারা।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেনা রিজিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর মোঃ জাহিদ হাসান।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে খাগড়াছড়ির ডিজিএফআই’র ডেট কমান্ডার লে: কর্ণেল মো. শাহ আলম সিদ্দিকী, সদর জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো. আবুল হাসনাত সহ সেনা রিজিয়নের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা, প্রত্যাগত শান্তিবাহিনীর সদস্যবৃন্দ ও মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভা শেষে ৯২জন প্রত্যাগত শান্তিবাহিনী সদস্যদের মাঝে প্রতিজনকে নগদ ৬হাজার টাকা করে তুলে দেন রিজিয়ন কমান্ডার।