বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রুমা বাজার থেকে বের করা হয় বিক্ষোভ মিছিল। শহরে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রুমা মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন পাড়ার লোকজন ছাড়াও পাড়াপ্রধান কারবারী, হেডম্যান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সমাবেশ বক্তারা বলেন, কয়েকদিন আগে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নে মুয়ালপি পাড়ার দুজনকে ধরে যায় নিয়ে কুকি-চিন সদস্যরা। পরে তাদেরকে মারধর ও নির্যাতন করে ছেড়ে দেওয়া হলেও এখনও ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
তারা আরো বলেন, এর আগেও বিভিন্ন পাড়ার লোকজনদের হয়রানি ও অত্যাচার করে আসছে কুকি-চিনের সদস্যরা। পাড়ার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে জোর করে খাবার নিয়ে যায়। প্রতিবাদ করলে বিভিন্নভাবে অত্যাচার করা হয়। এমনকি স্থানীয়দের অপরহরণ করে মোট অংক চাঁদা আদায় করছে বলে জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সাংগঠনিক সম্পাদক চিংশৈথুই মারমা সঞ্চালনায় রুমা উপজেলায় চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুম্রাউ মারমা, পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা, সদর ইউপি চেয়ারম্যান শৈবং মারমা, বড়থলি ইউপি চেয়ারম্যান আশৈমং মারমা, মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক শৈপ্রুচিং মারমা, অগ্রবংশ অনাথালয়ের অধ্যক্ষ নাইংডিয়া মহাথেরো, পলিকা পাড়া বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ইন্দাচিরিয়া মহাথেরোসহ সর্বসাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
গত বছর অক্টোবর থেকে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট ও নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শ্বারকীয়ার বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার কারনে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি এই তিন উপজেলায় এখনও অনির্দিষ্টকালের জন্য পর্যটক ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।