রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের ডংনালার উপর পাড়ার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে ইউজিডিপি’ ( উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প)র একটি সেচ নালা।
এ নালার কারণে উপর পাড়ার ৫ হেক্টর জমি বোরে ধান চাষের আওতায় আসে। যা আগে কখনো এসব জমিতে বোরো চাষ হয়নি। অনাবাদি পড়ে থাকত জমিগুলো। নালাটি নির্মাণের কারণে এ বছর প্রথম বারের মত বোরো চাষ হয়।
ইউজিডিপি সহায়তায় ২০২১-২১ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ২ ধাপে মোট ২৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যর সেচ নালাটি
১২ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬৮ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়।
গতকাল (৬ মে) উপর পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, জমি থেকে সোনালী পাকা ধান সংগ্রহ করছেন চাষীরা। ফলন কেমন জানতে সবার মুখে হাসি। চাষীরা জানান ফলন বেশ হয়েছে।
চিং প্রু অং মারমা (৬০) বলেন, আমার এ বয়স পর্যন্ত এ জমিতে বোরো মৌসুমে চাষ করতে দেখিনি। এ বছর প্রথম দেখলাম। খুব ভাল লাগছে।
মুচিংবাইন মারমা (৩৮) বলেন, আমার ২ একর জমিতে ২০ মন ধান প্রাপ্তির আশা করছি। এ ধান আমার পরিবারের খাদ্যর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এ নালাটি না হলে এ নিশ্চয়তা পেতাম না। অন্যর উপর নির্ভর হয়ে থাকতে হত আমাকে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য উচহ্লা মারমা (৪০) বলেন, এই সেচ নালাটি এ এলাকার মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে। নালাটি আরো সম্প্রসারণ করা গেলে আরো প্রায় ১. ৫০ হেক্টরের মত জমি চাষের আ ওতায় আসবে।
উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব ঝিমি চাকমা বলেন, এলজিইডি কাপ্তাই এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ২ ধাপে এ নালাটির কাজ করা হয়েছে। আমরা শুধু নালা তৈরি করিনি। ডগনালা ছড়া থেকে পানি উত্তোলনের জন্য একটি সেচ মোটর দিয়েছি।
যে মোটরটি ৪ ইঞ্চি পাইপ দিয়ে পানি তুলছে। সেচের যে বিদ্যুৎ বিল আসছে তা কৃষকরা দিচ্ছে।নালাটির বাকী অংশ সম্প্রসারণ করা যায় কিনা তা আমরা মাথায় রেখেছি।