শনিবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ৭ টায় রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র জেটিঘাটে গিয়ে দেখা যায় সাপ্তাহিক বাজারে লোকে লোকারণ্য। বৃষ্টিস্নাত দিনে ভীড় ঠেলে জেটিঘাট পল্টনে গিয়ে দেখা যায়, কাপ্তাই লেক ধরে শত শত ইঞ্জিন চালিত বোট করে পাহাড়ী উৎপাদিত কাঁঠাল নিয়ে ঘাঁটে ভীড়ছেন এক একটি বোট। মুহূর্তে সেই বোটের সামনে জড়ো হচ্ছেন বেপারিরা। এই যেন কাঁঠালের হাট।
জানা যায়, যেখানে সাপ্তাহিক বাজারে প্রায় ১০ লাখ টাকার কাঁঠাল বিক্রি হয়। রাঙামাটি সদর উপজেলার জীবতলি, মগবান, ধনপাতা, বড়াদম, কাপ্তাইয়ের হরিনছড়া, বারুদগোলা সহ বিভিন্ন জায়গা হতে বিক্রেতারা সাপ্তাহিক শনিবার বাজারে এই কাঁঠাল নিয়ে আসেন বিক্রির উদ্যেশে। মৌসুমী ফল হিসাবে খুব সু-স্বাদু হওয়ায় কাঁঠালের চাহিদা বেশি বলে ক্রেতা বিক্রেতারা জানান।
সেখানে কথা হয় মগবান এলাকার কৃষক বুদ্ধধন চাকমা এবং ধনা চাকমার সাথে। তাঁরা জানান,আমাদের নিজস্ব বাগানের উৎপাদিত এই কাঁঠাল আমরা জেটিঘাট বাজারে প্রতি শনিবার নিয়ে আসি। এই কাঁঠাল বিক্রি করে আমরা মাসে অনেক টাকা ইনকাম করি, এতে আমাদের সংসারও চলছে বেশ।
জীবতলির কৃষক ফুলধন চাকমা জানান, এই বছর আমার ২ একর বাগানে কাঁঠালের ব্যাপক ফলন হয়েছে। সাপ্তাহিক বাজারে বেশ দাম নিয়ে বেপারিরা কাঁঠাল কিনছেন।
কাপ্তাই জেটিঘাটে দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরে সাপ্তাহিক বাজারে কাঁঠাল কিনতে আসেন বাঁশখালির নবাব মিয়া। তিনি জানান, পাহাড়ীদের কাছ থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে কাঁঁঠাল কিনে বাঁশখালি, কুতুবদিয়া, মহেশখালী সহ অনেক জায়গায় কাঁঠাল বিক্রি করি। এই বছর পরিবহন খরচ অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় তেমন লাভ করতে পারছি না।
মৌসুমী ব্যবসায়ী আবুল মালেক এর সাথে কথা হয় কাপ্তাই জেটিঘাটে। তিনি জানান, প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন মৌসুমী ফল কিনে ট্রাকে করে নোয়াখালী নিয়ে যাই। তবে পরিবহন খরচ অতিরিক্ত হওয়ায় লাভ কম হচ্ছে।
কথা হয় ঘাঁট শ্রমিক আবু ইউসুফ, নুরনবী সহ আরোও কয়েকজনের সাথে। তাঁরা সেই সময় বোট হতে কাঁঠাল তুলে ট্রাকে তুলে দিচ্ছেন। তাঁরা সকলে জানান, সাপ্তাহিক শনিবার বাজারে প্রচুর পরিমান কাঁঠাল এই ঘাট দিয়ে আসে। আমরা প্রতিদিন গড়ে ৬ শত টাকার মতো আয় করি এই কাঁঠাল আনলোড করে।