খাগড়াছড়িতে জামাপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সাংবাদিক ইউনিয়ন।
শুক্রবার (১৬ জুন) সকাল ১০ টায় বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষার খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন’র এই কর্মসূচিতে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব, খাগড়াছড়ি টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এবং টিআইবি-সনাক সংহতি প্রকাশ করেন।
পরে সাংবাদিকরা মৌন পদযাত্রার মাধ্যমে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব’র সামনে এসে কর্মসূচি শেষ করে।
খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে/ রেজি: নং চট্ট- ২৮০৮)’-এর সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব’র সভাপতি জীতেন বড়ুয়া, সহ-সভাপতি মো. জহুরুল আলম, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন’র সা. সম্পাদক সৈকত দেওয়ান, খাগড়াছড়ি টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন’র সা. সম্পাদক এইচ. এম. প্রফুল্ল এবং টিআইবি-খাগড়াছড়ির ম্যানেজার মো. আব্দুর রহমান।
মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। সারাদেশে সাংবাদিকদের হত্যা, মামলা দিয়ে হয়রানি বন্ধে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব ও জীবনের সুরক্ষায় আলাদা আইন প্রণয়নের দাবি জানান। এবং সাংবাদিকরা নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, জামালপুরের বকশীগঞ্জে সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত একাত্তর টিভির উপজেলা সংবাদ সংগ্রাহক ও বাংলা নিউজের জামালপুর প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী নাদিম বুধবার (১৪ জুন) রাতে পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় ১০/১২ জন সন্ত্রাসী নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি মারা যান।