মঙ্গলবার , ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

বিদ্যানন্দের বাকীর হাটে পণ্য কিনে খুশী ক্রেতারা

প্রতিবেদক
বিশেষ প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩ ৪:৪১ অপরাহ্ণ

দান নয়, বাকী ভেবে পণ্য নিন, পরে কোন অভাবীকে মূল্য দিয়ে দিন” শ্লোগানে সুবিধা বঞ্চিত, দুস্থ, অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাগড়াছড়ি বাকী হাটে পণ্য বিক্রি করেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।

মঙ্গবার সকালে অফিসার্স ক্লাবে হলরুমে এই হাট বসানো হয়। বাকীর হাট উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেস্বার মোঃ জামাল উদ্দিন’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সভায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী এবং প্রেসক্লাব’র সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের উপস্থিত ছিলেন।

দীঘিনালা থেকে আসা ক্রেতা এন্টন চাকমা বলেন, মেয়েটার জন্য একটি স্কুল ব্যাগের দরকার ছিল। এই বাজারে এসে আমি তাকে সেটি উপহার দিতে পেরেছি।আজ আমার মেয়ে খুবই খুশি। তার সাথে আমিও অনেক খুশি। খাগড়াছড়ি সদর থেকে সুপারশপে বাজার করতে আসা রাজিয়া বেগম বলেন,আজকে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সুপারশপে এসে নিজের পছনন্দ মতো মুরগী, ডিম, নুডলস, আলু, চাউল পেয়ে আমি অনেক খুশি।

 

পানছড়ি থেকে বাজার করতে আসা মিথুই চিং মারমা বলেন, বাকীর হাটে এসে বাজার করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। জীবনে ভাবিনি ভাবিনি বড়লোকের মতো করে স্বাধীনভাবে এভাবে শপিং করতে পারবো। অনেকদিন পর ছেলেমেয়েদর মুরগী মাংস দিয়ে ভাত খাওয়াবো। আমি বিদ্যানন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক মুবারক হোসেন বলেন,খাগড়াছড়ি জেলার প্রায় তিনশত কাছাকাছি অস্বচ্ছল পরিবার তাদের নিজেদের পছন্দ মতো বাজার করেছেন সম্পূর্ণ বাকীতে। তারা প্রত্যেকে ৬০০টাকার পন্য নিতে পেরেছেন। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পণ্য বাছাই করে নিজে ক্রয় করার স্বাধীনতা তৈরি করতে এ ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। আর তারা যেন কোনোভাবেই নিজেদের ভিক্ষুক মনে না করেন,এজন্য বাকীতে পণ্য বিক্রি করা হয়েছে। পরে তারা সামর্থ্য হলে, আরেকজন অভাবীকে দান করতে পারবে। না পারলেও সমস্যা নেই।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্য মো: জামাল উদ্দিন বলেন, ভোজ্যতেল, চাল-ডাল, লবণ, ডিম, মাছ, সবজি ও নুডলসসহ ২১ টি পণ্যের সমাহার ছিল সুপারশপে। নির্দিষ্ট টোকেন নিয়ে অস্বচ্ছল মানুষজন নিজেদের চাহিদা মতো বাজার করেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের তদারকিতে বাকীর হাটে চলেছে অসচ্ছল নারী ও পুরুষের কেনাকাটা। মুলত দুস্থদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই বাজারের আয়োজন করা হয়। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারনে সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের মানুষ খুব দুর্দশার মধ্যে আছে। তাঁর উপর সাম্প্রতিক পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি জেলা অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সারাদেশে সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য একটি অভিনব বাজার পরিচালনা করে থাকে। প্রথাগত ত্রানের বিপরীতে ত্রানপণ্য দিয়ে বাজার বসানো হয় যেখান থেকে মানুষ তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী পণ্য বাছাই করে নিতে পারেন। ফলে যার যে পণ্য দরকার তিনি সে পণ্য বাছাই করতে পারেন।

পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষদেরও যে বাছাই করে নেয়ার অধিকার আছে সেটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সাম্প্রতিক পাহাড়ি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খাগড়াছড়ির জনসাধারনের ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় এদিন ‘ সেই বাজারে দুস্থ মানুষজন প্রায় ৬০০ টাকার পণ্য সম্পূর্ণ বাকীতে বাছাই করে নিতে পারেন।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
%d bloggers like this: