বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এবং আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরীকে দলীয় কার্যক্রম হতে আজীবনের জন্য বহিস্কারের সুপারিশ করে প্রেস ব্রিফিং করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখা।
বুধবার (১নভেম্বর) বিকাল ৫ টায় বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এ বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন।
প্রেস ব্রিফিং এ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন বক্তব্যে বলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক রাসেল চৌধুরী, আমতলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন ও আমতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হোসেন এর বিরুদ্ধে আমতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের অভিযোগ ও বিভিন্ন অপকর্ম এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ সহ নানান অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেকে সংগঠন হতে স্থায়ী বহিস্কারের লক্ষে গত ১৩ অক্টোবর রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাথে এক মতবিনিময় সভা করে বাঘাইছড়ি উপজেলা ও আমতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দেড় শতাধিক নেতাকর্মী।
রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি ও সাধারণ মুছা মাতব্বর সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অভিযোগ আমলে নিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীহ সহ উপজেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে গত ৩১ অক্টোবর এক জরুরী সভা করে বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ। সভায় সকলের সম্মতিক্রমে রাসেল চৌধুরী, বিল্লাল হোসেন ও পারভেজ কে স্থায়ী বহিস্কারের জন্য জেলা আওয়ামীলীগ বরাবর সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
রাসেল চৌধুরীর বিষয়ে কি কি অভিযোগ প্রশ্নের উত্তরে গিয়াস উদ্দিন মামুন বলেন, রাসেল চৌধুরী সংগঠনের পদ পদবী ব্যবহার করে দলীয় অনেক নেতাকর্মীকে মামলা হামলা হয়রানী ও চাদাবাজী করেছে এমন অনেক অভিযোগ আছে। দলের সিনিয়র নেতাকর্মী বিশেষ করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী সহ অনেকের সিল- সই এবং দলীয় প্যাড নকল করে ব্যবহার করেছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে যেকোন পর্যায়ের নেতাকে বহিস্কার করার এখতিয়ার রাখে সিনিয়র কমিটি।
উল্লেখ্য যে এর আগেও ২০১৭ সালে আমতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদ হতে সামহিক অব্যাহতি দেয়া হয় রাসেল চৌধুরীকে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাসেল চৌধুরীর কাছে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন কতিপয় নামধারী আওয়ামীলীগ নেতা ও কাঠ পাচারকারী চক্র সঙ্ঘবদ্ধভাবে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে জেলা আওয়ামীলীগ যেই সিদ্ধান্ত নিবে সেটি আমি মাথা পেতে নিবো। এছাড়া জেলার সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বলে বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করবো।