নাম তার বসুমতি চাকমা। উপজেলা সদরের পাশে রাজধন ছড়া এলাকার বাসিন্দা।বর্তমানে সে একজন স্বাবলম্বী নারী।জেনে নিই তার জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার গল্প। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়। স্বামী কাজ করে কোনো রকম সংসার চালাতো।একদিন কাজ করতে গিয়ে অন্য চিন্তায় মগ্ন হয়ে হঠাৎ হাত কেটে ফেলে তার স্বামী। কেটে যায় হাতের আঙ্গুল। কাজ করার মত সক্ষমতা নেই তার। তখন তার স্ত্রী বসুমতির কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে, কি করে সংসার চালাবেন, সন্তানদের কিভাবে পড়ালেখা করাবেন।
তবে সে বসে থাকেনি,একটি বেরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিআইপিডি’র ২০০৮ সনে গ্রাম সুরক্ষা কমিটি সদস্য পদ লাভ করে। এবং আইজিএ, লাইভলীহুড, হিউম্যান রাইটস্ পোলট্রি, পশুপালন সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।পরে সাহস করে ব্রাক এনজিও থেকে ২০১৪ সালে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে বাজারে শুরু করেন সবজি ও শুঁটকি ব্যবসা।
এমন সময়ে একজন নারী সবজি ব্যবসায়ী বাজারে দেখে অনেকে সবজি ও শুঁটকি ক্রয় করতে আসেন তার কাছ হতে।সে হিসাবী ও মিতব্যয়ী হওয়ায় অনেক টাকা উপার্জন করে।
বেশ কয়েক বছর সবজি ব্যবসা করার পর পরে যুব উন্নয়ন অফিস হতে ৫০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। নিজের টাকা সহ যোগ করে ২০২১ বাজারে একটি বিভিন্ন পোশাক, ব্যাগ ও অন্যান্য কাপড়ের দোকান করেন।এতে বর্তমানে বেশ কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল রয়েছে।
তিনি নিজের ও লাভের টাকায় বর্তমানে ৮ কানি জমি ও বসত-ভিটা, ২ টি গরু হতে ৮ টি গরু, রয়েছে ছাগল ও বাগান – বাগিচাও। হাল ছাড়েননি সন্তানদের লেখা পড়া করাতেও।বর্তমানে ৩ সন্তানের মা হলেও এক সন্তান সুমন চাকমা রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজে বিএ অনার্স কোর্সে অধ্যায়ন রয়েছে, ছোট ছেলে রিপন চাকমা সুইডেন পলিটেকনিক্যালে ডিপ্লোমা কোর্সে এবং মেয়ে অর্চনা চাকমা রাঙ্গামাটি মহিলা কলেজে অধ্যয়নরত রয়েছে।
তিনি বর্তমানে তিন সন্তান এক স্বামী নিয়ে সুখে রয়েছেন বলে জানা যায়। বলতে গেলে সে একজন সফল উদ্যোক্তা।