লাখো মানুষের সাধুবাদের মধ্যে দিয়ে শেষ হল রাঙামাটির রাজবন বিহারে ৪৮ তম কঠিন চীবর দান।
শুক্রবার বিকালে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোমর তাতের মাধ্যমে তৈরি কঠিন চীবর রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ও বনভান্তের শিষ্য প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরের হাতে তুলে দেন। এ সময় লাখো পূণ্যার্থীর সাধুবাদে মুখরিত হয় রাজবন বিহার এলাকা।
এরে আগে পূণ্যার্থীরা বুদ্ধ ভিক্ষুদের কাছে পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন। পুণ্যার্থীদের পক্ষে ভিক্ষুসংঘের কাছে পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়।
শীল গ্রহণের পর কঠিন চীবর, বুদ্ধমুর্তি, কল্পতুরু দান,০১ সংঘদান, অস্টপরিস্কার দানসহ নানান দান কার্য সম্পাদন করা হয়। এ ধর্ম অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দেশের শান্তি ও মঙ্গল কামনা করা হয়। দানকার্য শেষে দেশের বিশিষ্ট পন্ডিত বুদ্ধ ভিক্ষুগণ ধর্ম দেশনা দেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে শুরু হওয়া দুই দিনের ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র রাঙামাটিতে ভিড় করেন দেশ বিদেশের লাখো পূণ্যার্থী।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, মনি স্বপন দেওয়ান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদের অংসুই প্রু চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান, রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. নিহার রঞ্জন নন্দী, রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ, মো. জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ শাহ ইমরান, রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, চাকমা রানী য়েন য়েন সহ জেলার সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
তথাগত গৌতম বুদ্ধের সময় ২৪ ঘন্টার তুলা থেকে সুতা কেটে চীবর তৈরি করে বুদ্ধ ও শিষ্যসংঘকে দান করেন বিশাখা নামে এক পূণ্যবতি।
১৯৭২ সালে রাঙামাটির লংগদুতে পরিনির্বাপিত বনভান্তে সর্বপ্রথম এ রীতিতে কঠিন চীবর দান প্রচলন করেন। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে এ রীতিতে চীবর দান করছেন পাহাড়ের বৌদ্ধধর্মালম্বীরা। বৌদ্ধদের বিশ্বাস কঠিন চীবর দানের কারণে সুখ শান্তি অর্জনের পাশপাশি পরবর্তী জন্মে সুখ লাভ করা যায়।