আমাদের দুর্ভাগ্য আজকে যে পার্বত্য অঞ্চলে যে অস্তিত্বের সংস্কৃতির সংকট। সে সংকটাকে মোকাবেলা করা জন্য ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বা ক্ষর হয়েছিল। কিন্তু আজকে পার্বত্য অঞ্চলের পক্ষে যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে এই এলাকার উন্নয়নে, এই এলাকার মানুষের জীবনধারায় স্বাভাবিকতা, নিরাপত্তাসহ সকল ধরণের উন্নয়নের জন্য যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজকে সেই চুক্তি কোন না কোন ভাবে বাস্তবায়নের পথ রুদ্ধ হয়ে আছে।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চুক্তি যদি যথাযথ বাস্তবায়ন হতে পারে তাহলে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের আশা আকাঙ্কা পূরণ হবে।আমরা শুধু এই বিজু, বৈসুক, সাংগ্রাই এর সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ দিনটাকে প্রতিষ্ঠিত নয় আমরা গোটা সমাজ, গোটা সংস্কৃতিকে আদিবাসী জণগণকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই উজ্জীবিত করতে চায় এগ্রিয়ে নিয়ে যেতে চায়।
বিজু, বৈসু, সাংগ্রাই, বিষু, সাংক্রাণ ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যকে সন্তুু লারমা এসব কথা বলেন।
সোমবার(১০ এপ্রিল) সকালে রাঙামাটি পৌরসভার প্রাঙ্গনে বিজু, বৈসুক, সাংগ্রাই, বিষু, সাংক্রাণ ২০২৩ এর উদ্বোধন করা হয়। পরে আলোচনা সভার শেষে পৌরসভা প্রাঙ্গন থেকে এক র্যালী বের করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয় এবং বিকালে সেখানে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় অবঃ উপ সচিব প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অঞ্জলিকা খীসা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী লেখক ফোরামের সাবেক সভাপতি শিশির চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওর্য়াক সহ-সভাপতি এ্যাড,ভবোতোষ দেওয়ান, বিলাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বীরত্তোম তঞ্চঙ্গ্যা, সুশাসনের জন্য নাগরিক রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এম জিসান বখতিয়ার, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক পলাশ কুসুম চাকমা।
বিজু, বৈসুক, সাংগ্রাই, বিষু, বিহু, সাংক্রাণকে সামনে রেখে আগামী ১২-১৪ এপ্রিল শুরু হবে বিজুর মূল আনুষ্ঠানিকতা। এই তিন দিন ব্যাপী শুরু হতে যাওয়া উৎসবকে ঘিরে তিন পার্বত্য জেলায় পাড়ায়-মহল্লায় শুরু হয়েছে নানা উৎসবের আমেজ।
তিন পার্বত্য জেলায় রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় ১৪ টি জাতিগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব হচ্ছে বিজু, বৈসুক, সাংগ্রাই, বিষু-বিহু, সাংক্রাণ এই উৎসবের প্রথম দিনকে বলা হয় ফুল বিজু। উৎসবের দ্বিতীয় দিন মূল বিজু এবং তৃতীয় দিন হচ্ছে গজ্যাপজ্যা বিজু বা নববর্ষ উৎসব। এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে পাহাড়িরা পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে ও নতুন বছরকে বরণ করে নেয়।