রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রাসেল চৌধুরীকে প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে লংগদু উপজেলার মাইনীমূখ বাজার থেকে রাসেলকে গ্রেফতার করে লংগদু থানার পুলিশ। পরে তাকে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় প্রেরণ করা হয়।
মোঃ পারভেজ হোসেন নামে একজন রাসেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে রাঙামাটির আদালতে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধারায় সিআর ৪০৪/২৩ মামলা করেন। আদালত এ মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
রাসেল চৌধুরী বিজ্ঞ আদালতের এ আদেশের কপি পিবিআইকে স্ব শরীরে গিয়ে হাতে হাতে পৌছিয়ে দেয়ার কথা বলে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আদেশটি নিজের আয়ত্বে নিয়ে নিজে একটা তদন্ত প্রতিবেদন বানিয়ে আদালতে জমা দেয়।
প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে গেলে প্রতিবেদনটি বিজ্ঞ আদালতের নিকট অসামঞ্জস্য বলে মনে হলে কোর্ট পুলিশকে অবহিত করে। কোর্ট পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করে জানতে পারে আসামী রাসেল চৌধুরী প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে সেরেস্তা থেকে মামলাটি পিবিআইতে না পৌছাইয়া পিবিআইয়ের সাবেক পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম (যিনি ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পিবিআই চট্টগ্রাম কর্মরত ছিলেন)। তার নাম স্বাক্ষর ও সীল মোহর ব্যবহার করে নিজের নিজের মত করে মিথ্যা প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন।
এ ফৌজদারী অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে ও তার অজ্ঞাতনামা সহ আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানার মামলা নং-১৮,তারিখ-২৯ নভেম্বর ২০২৩ প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মামলা করা হয়।
এব্যাপারে জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার ওসি আরিফুল আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রতারক রাসেল চৌধুরী ফৌজদারী অপরাধে জাল জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে লংগদু উপজেলার মাইনীমূখ বাজার থেকে লংগদু থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কোতয়ালী থানায় প্রেরণ করে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে প্রতারক রাসেলকে।
এর আগে রাসেল চৌধুরী বিরুদ্ধে ভূয়া আইনজীবী, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল, সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের স্বাক্ষর জাল, বিভিন্ন হেডম্যানদের স্বাক্ষর জাল সহ কয়েক ডজন অভিযোগ ছিল। এগুলোর সত্যতা মিলে। অবশেষে পিবিআই কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করার অপরাধে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল।