নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসার প্রচার ও প্রসার ঘটানোসহ তাদের কাজ ও সফলতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে রবিবার (১২ অক্টোবর) চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী দক্ষিণ পাড়ায় তিন দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তা পণ্য মেলার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
১২ অক্টোবর (রবিবার) দুপুরে ক্ষুদ্র উদ্যোগ খুটাখালী আয়োজিত এ মেলা প্রধান অতিথি থেকে উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ফিরোজ আহমদ, ইউনিয়ন জামায়াত সেক্রেটারী মাওলানা শাহাব উদ্দিন আরমান, মোহাম্মদুল হক ও মোঃ ইব্রাহিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, এ ধরনের মেলার মাধ্যমে দেশের নারী উদ্যোক্তারা উৎসাহী ও অনুপ্রাণিত হবেন। নারী উদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রচার ও প্রসার ঘটানো, তাদের অনুপ্রেরণা জোগাতে এবং উদ্যোক্তা ও ভোক্তার মাঝে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতেই এ মেলার আয়োজন।
প্রথমবারের মত আয়োজিত এ মেলায় ইউনিয়নের ডজনাধিক নারী উদ্যোক্তা অংশ নিয়েছেন। মেলা সকাল দশটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলছে। মেলায় থ্রিপিস, ফ্যাশন, ফাস্টফুড, রকমারি ডিজাইনের জুয়েলারি, কসমেটিকস ও কেকসহ বিভিন্ন পণ্যের ১০টি স্টল বসছে। মেলার প্রথম দিন দেখা গেছে দর্শনার্থীদের ভিড়।
জান্নাত বস্ত্র বিতানের উদ্যোক্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই, তারা অনলাইন ব্যবসা এগিয়েছে। অনলাইন ব্যবসায় ঝুকে পড়ছে নারীরা। এতে একদিকে যেমন তারা আত্মনির্ভরশীল হচ্ছেন অন্যদিকে সাবলম্বী হয়ে উঠছেন। পরিবারের কাজের ফাঁকে তারা নিজেদের মেধা দিয়ে ব্যবসাকে টিকিয়ে রেখেছে।
ক্ষুদ্র উদ্যোগ এর তসলিমা আকতার বলেন, আমি ৬ হাজার ১ শত টাকা দিয়ে প্রথম কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেছিলাম। ৬ বছরে এখন আমার পুঁজি ৬০ হাজার টাকার ওপরে। আমাকে দেখে এখন অন্যরাও ঝুঁকে পড়েছেন এ ব্যবসায়।
কেক হাউস খুটাখালীর ছালেহা জান্নাত বলেন, আমাদের নারীরা অনলাইন ব্যবসায় ঝুঁকে পড়েছেন। এর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। নারীরা উৎসাহিত হচ্ছেন, বর্তমানে শতাধিক নারী এ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। যাদের বেশিরভাগ নিজ নিজ অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত।
নারী উদ্যোক্তা সোনিয়া সুলতানা বলেন, ৮ মাস পুর্বে ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে প্রথম ব্যবসা শুরু করি। এখন আমার পুঁজি ৬০ হাজা টাকা। আমার হাউজে কর্মসংস্থান হয়েছে আরও ২ নারীর।
চুড়িওয়ালী দোকানের শিক্ষার্থী ইশরাত জামিল বৃষ্টি বলেন, ১ বছর ধরে অনলাইনে ব্যবসা শিরু করেছি। সফলতা পেয়েছি শতভাগ।
হাসিন কেক হাউসের হালিমা খতুন বলেন, তার নিজস্ব পার্লার রয়েছে। পাশাপাশি ৪ বছর ধরে ১ ছেলে নিয়ে শুরু করেছেন কেকের ব্যবসা। তার ছিল মুলধন ছিল ৭০ হাজার টাকা। বর্তমানে ৩ লাখ টাকা পুঁজি দাঁড়িয়েছে।
মেলায় আগত কয়েকজন দর্শনার্থী জানালেন, মেলায় আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। এখান থেকে আমরা উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছি।
চাকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, নারীদের এমন উদ্যোগ সত্যিই অনেক প্রশংনীয়। পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তারা যাতে কোনো রকম প্রতারিত না হয়, সে জন্য প্রশাসন তাদের সার্বিক সহযোগীতা করবে।