জুরাছড়ি উপজেলা তানা চার দিন ভারী বর্ষণে নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে আউশ মৌসুমে ২০২ হেক্টর জমির রোপিত ধান ও প্রায় ১০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (৭আগস্ট) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জুরাছড়ি ইউনিয়নের লুলাংছড়ি, সাপছড়ি, সীতারামপাড়া, মিতিংগাছড়ি, ডেবাছড়া কুসুমছড়ি, বালুখালী, মধ্যভিটা, শীলছড়ি, ঘিলাতলী বনযোগীছড়া ইউনিয়নে বহেরাছড়ি, ধামাইপাড়া, ছোট পানছড়ি, বেকাবেক্যা, শুকনাছড়ি, চুমাচুমি মৈদং ইউনিয়নের পানছড়ি, ভুয়াতলী, জামের ছড়ি, হাজাছড়ি, বারাবান্যা দুমদুম ইউনিয়নে ডানেতেছড়ি, বস্তিপাড়া, বরকলক, করইদিয়া, চাম্পাইপাড়া, গবছড়ি প্লাবিত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ।
দুমদুম্যা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা বলেন, আউশ জুমের রোপিত ধান ক্ষেতে পাহাড় ভাঙ্গার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া প্রাথমিক ভাবে ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
মৈদং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা জানান, পাহাড়ি ঢল নামায় নিম্ন অঞ্চলে বসবাসরতদের আতংকে থাকতে হচ্ছে। এছাড়া পাড়া ধ্বংসের আশংকাও বেরেই চলছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কৌশিক চাকমা বলেন এ পর্যন্ত মৈদং ইউনিয়নের শীলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জামেরছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং জুরাছড়ি ইউনিয়নের ঘিলাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হওয়ার তথ্য পেয়েছি। এছাড়া মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়নের তথ্য নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বন্যা প্রবল সম্ভাবনা এলাকায় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ মাহফুজ আহমেদ সরকার বলেন, আউশ, আমন ও শাক-সবজি ক্ষেত ২০২ হেক্টর প্রাথমিক ভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। ক্ষয়ক্ষতি আরো বাড়তে পারে।
উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বলেন, উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির এলাকা পরির্দশন করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় তালিকা তৈরীর করে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির এড়াতে পুলিশ ও উপজেলা পরিষদের একটি টিম মাঠে কাজ করছে।