রবিবার , ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

রাঙামাটিতে কুষ্ঠ দিবস পালন / সচেতনতায় কুষ্ঠরোগ নির্মূল করা সম্ভব

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি।
জানুয়ারি ২৮, ২০২৪ ২:২৪ অপরাহ্ণ

‘আত্মমর্যাদার পরিবেশ কুষ্ঠ কলঙ্কের হবে শেষ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাঙামাটিতে পালিত হয়েছে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস।

দিবসটি উপলক্ষে রবিবার সকালে রাঙামাটিতে র‌্যালী ও সচেতনতা সভা করেছে রাঙামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

কুষ্ঠ রোগ নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা দি লেপ্রোসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সিএইচটি সহযোগীতায় দিবসটি পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে রাঙামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কুষ্ঠ রোগ নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের অবস্থা ও করণীয় বিষয়ে সচেতনতা সভার আয়োজন করা হয়।

ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সিবলী শফিউল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বিনোদ শেখ চাকমা।

সভার শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রামের কুষ্ঠ রোগের অবস্থা নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন লেপ্রোসী মিশনের মেডিকেল অফিসার ডা. জীবক চাকমা।

এ সময় তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে গত এক বছরে কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১৬ জন। তার মধ্যে ৪৫ জন রাঙামাটি জেলা থেকে। এর মধ্যে কাউখালী  উপজেলা থেকে শনাক্ত হয়েছে ১৬ জন। এ ছাড়া বাঘাইছড়ি, বরকল, রাজস্থলী উপজেলা থেকেও রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর বাইরেও চিকিৎসার আওতার বাইরে থাকতে পারেন বলেন জীবক চাকমা।

তিনি বলেন সচেতনতার অভাব ও কু সংস্কারের কারণে এখনো অনেকে এ রোগ বিষয়ে অবগত নয়। সমাজ থেকে আলাদা হতে হবে এমন আশংকায় অনেকে তথ্য গোপন করে। এ রোগ চিকিৎসায় সম্পুর্ণ ভাল হয় তা তারা জানে না। অনেকে বিভিন্ন  বৈদ্য কবিরাজে কাছে চিকিৎসা করে। এ ভুল চিকিৎসা করতে গিয়ে অনেকের জীবন বিপন্ন হবার উপক্রম হয়। যখন চিকিৎসা করা কঠিন তখন এসব রোগীরা লেপ্রোসী মিশনের কাছে আসে। যদি উপসর্গ দেখার সাথে সাথে লেপ্রোসীর কাছে আসলে তাহলে রোগীরা এমন সমস্যায় সম্মূখীন হতেন না।

ডা. জীবক চাকমা বলেন পাহাড়ের দুর্গম এবং শিক্ষা দীক্ষায় অনুন্নত এলাকাগুলো এ রোগের প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়। সবাই সচেতন হলে এ রোগ পার্বত্য চট্টগ্রামসহ পুরো বাংলাদেশ থেকে নির্মূল করা সম্ভব।

 

সভার শুরুর আগে একটি র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি সিভিল সার্জন কার্যালয় হয়ে রাঙামাটি সদর উপজেরা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় ঘুরে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

 

 

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: