বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ও নির্যাতনের কারণে সীমান্তে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করা কিছু আহত ও অসহায় রোহিঙ্গাকে মানবিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) তিনি কক্সবাজারের স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল এস, কে, এম কফিল উদ্দিন কায়েস, রামু সেক্টরের অপারেশন অফিসার মেজর সাকিবসহ অন্যান্য অফিসারগণ।
এতে তিনি তথ্য দেন যে, ‘সীমান্ত পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। প্রতিদিনই অসংখ্য রোহিঙ্গা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এর মধ্যে আহত, নারী ও শিশুদের মানবিক কারণে প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছে। তবে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। মাদক ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কড়া নজরদারি অব্যাহত আছে।
কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ‘সীমান্ত সুরক্ষা জোরদারে সরকার ইতোমধ্যে বিজিবিতে নতুন জনবল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সীমান্তের নাজুক পরিস্থিতি সামাল দিতে এ উদ্যোগ বিজিবির কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী করবে। আরাকান আর্মির হাতে আটক বাংলাদেশী জেলেদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনো ৫১ জন জেলে আরাকান আর্মির কাছে জিম্মি রয়েছে। তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, যেন আর কোনো বাংলাদেশী জেলেকে অপহরণ না করা হয়।
বিজিবির এ কর্মকর্তা জেলেদের সতর্ক করে বলেন, ‘মাছ ধরতে গেলে অবশ্যই নির্ধারিত পানিসীমা মেনে চলতে হবে। অসচেতনতা কিংবা কিছু চোরাকারবারির প্ররোচনায় সীমান্ত অতিক্রম করায় অনেক সময় তারা ঝুঁকিতে পড়ছেন। মতবিনিময় সভায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারি, সাংবাদিক শামসুল হক শারেক, আনসার হোসেন ও হাসানুর রশীদসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।