কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন নৌপথ খনন করা হচ্ছে অপরিকল্পিত ও বিক্ষিপ্তভাবে।এতে পানির নীচে পাহাড় টিলা বিল কাটা পড়ে নৌপথ আবারও ভরাট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় নাথাকায় অপচয় হচ্ছে রাষ্ট্রের অর্থের। এজন্য জেলা প্রশাসনের সমন্বয় করা দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থা রাঙামাটি অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ।
আজ (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাঙামাটি শহরে সংস্থাটির নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানান নেতারা।এসয় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থা রাঙামাটি অঞ্চলের চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন সেলিম। বক্তব্য রাখেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, মোঃ নাজিম উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থার কথা বিবেচনায় না নিয়ে সমতলের নদী খননের মতোই কাজ করা হচ্ছে। আবার খনন করা সেই পলিমাটি কাপ্তাই হ্রদেই ফেলা হচ্ছে। এতে নৌ-পথগুলি ভরাট হয়ে শুষ্ক মৌসুমের কয়েক মাস আগ থেকেই নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে ৬ উপজেলার ৫ লাখ মানুষকে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।এছাড়া পানি স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কাপ্তাই হ্রদের মাছের যোগানও কমে যাচ্ছে। আমরা চাই কাপ্তাই হ্রদের নৌপথগুলি সুষ্ঠু নৌ-চলাচলের স্বার্থে বিভিন্ন প্রশাসনের সমন্বয়ে ৬ টি নৌপথ পরিকল্পিতভাবে খনন করা হোক।
নাজিম উদ্দন বলেন, ঢাকা থেকে টেন্ডার করে কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন। খনন কাজে জেলা প্রশাসনের সাথে কোন সমন্বয় নাই। এগুলো রাঙামাটিবাসীর কোন কাজেই আসবে না। সমন্বয় করা হলে সারাবছরই বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচ, জুরাছড়িসহ ৬ উপজেলা ও ঠেগামুখ পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করতে পারবে।আমাদের মূল দাবি হচ্ছে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সমন্বয় করার।
মঈনউদ্দিন সেলিম বলেন, সমন্বয় না করে খনন কাজ করছে একেকটা ডির্পাটমেন্ট। কে কী কাজ করছে কেউ আসলে জানে না। আমাদের দাবি হচ্ছে, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে যত সংস্থা কাপ্তাই লেকের সাথে জড়িত, তাদেরকে নিয়ে কাজগুলো করুক। আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করুক, রাঙামাটি জেলার ৫ লাখ মানুষ লেকের ওপর নির্ভরশীল। ৬টি উপজেলায় আমরা ১০-১২টি পয়েন্ট নির্ধারণ করেছি, এগুলোতে ড্রেজিং করা হলে রাঙামাটির মানুষ যাত্রি পরিবহন ও পন্য পরিবহন সারাবছরই করতে পারবো।