রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর আয়োজনে উপজেলার ব্যাঙছড়ি পাড়ায় পার্টনার কৃষক মাঠ স্কুল – ধান ও কৃষক সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের রেশমবাগান কৃষি ব্লকের মিতিঙ্গাছড়ি গ্রামে সফল সবজি বাগানী কৃষক আব্দুল মালেকের সবজি বাগান প্রাঙ্গনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের “অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্প” এর আওতায় বসতবাড়িতে নিরাপদ সবজি উৎপাদন সম্পর্কিত কৃষক-কৃষাণীদের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) পৃথক পৃথক ভাবে এই কৃষক স্কুল মাঠ উদ্বোধন এবং উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উভয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইমরান আহমেদ।
এসময় তিনি বলেন, দেশের পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন “এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ব্যাপক কর্মযজ্ঞের একটি অংশ এই উঠান বৈঠক। তিনি আরো বলেন, “বৈজ্ঞানিক কালিকাপুর মডেল অনুসরণ করে বসতবাড়ির আঙ্গিনায় মাত্র দেড়-দুই শতক জমিতে সারাবছর শাক-সবজি চাষ করে একটি পরিবারের পুষ্টি চাহিদার বিরাট অংশ নিশ্চিত করা যায়।” এ সময় উপস্থিত কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে পুষ্টি প্লেট, পুষ্টি কার্ড, লিফলেট, ফলের চারা ও সবজি বীজ বিতরণ করা হয়।
এসময় কাপ্তাই উপজেলার উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা থোয়াইনুচিং মারমা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাপ্পা মল্লিক সহ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন ।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রতি শুরু হওয়া “প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার)” প্রোগ্রামের আওতায় এই কৃষক মাঠ স্কুল পরিচালিত হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ইমরান আহমেদ বলেন, “উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে আধুনিক ধান উৎপাদন কলাকৌশলের ওপর দশটি সেশনে ২৫ জন কৃষক-কৃষাণীকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।”