ঈদুল আজহাকে ঘিরে কোরবানির শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে পশুর হাট। এবার রাঙামাটি পৌর ট্রাক টার্মিনালে গরু উঠেছে প্রায় ৬৫ হাজার,যার বাজার মূল্য গড়ে সাড়ে ৫শ’কোটি টাকা। ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলছে গত বছরের চেয়ে এবছর প্রচুর পশু বাজারে এসেছে কিন্তু দর কষে বসে আছেন বিক্রেতা। একটু বেশি দাম পাওয়ার আশায় বিক্রেতারা গরু ধরে রেখেছেন। তবে ক্রেতারা বলছেন গরু বাজারে উঠলেও বিক্রেতারা দাম ধরে বসে আছে। অন্য দিকে দূর-দূরান্ত থেকে আসা পশু বিক্রেতারা দাম বেশি পাওয়ার আশায় অনেক গরু বোটে রেখে দিয়েছেন। বেশি লাভের আশায় বোট থেকে সহজে গরু পশুর হাটে তুলছে না।
পশু ব্যবসায়ি মোঃ নাছির উদ্দিন বলেন, মাইনীমূখ বাজার থেকে শুরু করে একটি গরু চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়।পথে পথে দিতে হয় সরকারি বেসরকারী চাঁদা। এর পর পরিবহন খরচ তো আছেই। সবকিছু মিলে একটি গরুতে ৪-৫ হাজার টাকা লাভ হয়। বাজারে প্রচুর গরু আছে কিন্তু গরুর মালিকেরা বেশি দামের আশায় গরু ধরে রেখেছেন।
বাঘাইছড়ি থেকে গরু ব্যবসায়ি মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, সে বাঘাইছড়ি থেকে ২৪টি গরু রাঙামাটি ট্রাক টার্মিনাল গরু বাজারে নিয়ে এসে ৫টি গরু বিক্রি করেছেন। বাকি গরু গুলো রয়ে গেছে। গরুর দাম ক্রেতার নাগালের মধ্যে আছে। আমার কিনা বেশি তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
পশুর হাট ইজাদার মোঃ রুহুল আমিন বলেন,এই পশুর হাটে গত বুধবার থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজারেরও বেশি কোনবানির পশুর হাটে আসবে। যার বাজার মূল্য আনুমানিক সাড়ে ৫শ’কোটি টাকার মত হবে।এই পশুর হাটে সর্বোচ্চ গরু বিক্রি হয়েছে ২লক্ষ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে গত বছরের চেয়ে এবছর গরু বেশি এসেছে।প্রতি হাজারে ২০ টাকা করে হাসিল নেওয়া হচ্ছে। অনেকে পরিচিত হওয়ায় ১হাজার টাকা হাসিল ৫শ’ টাকা দিয়ে চলে যায়।
লংগদু থেকে গরুর মালিক সোনাধন চাকমা বলেন,অনেক কষ্ট করে গরু লালন পালন করে বাজারে এনে দেখি চাহিদা মত দাম পাচ্ছিনা। ৪টি বড় গরু এনেছি একটি গরুর পিছনে ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু সে গরু ক্রেতা চায় ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা। দেখি বিকাল হতে হতে কি পরিস্থিতি না গরু ফেরৎ নিয়ে যাবো।
রাঙামাটিতে এবার পর্যাপ্ত কোরবানির পশু উঠেছে। ক্রেতারা বলছে রাঙামাটি পশুর হাটে প্রচুর পরিমান গরু উঠেছে। তবে রাঙামাটি ট্রাক টার্মিনাল হতে গরু চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। নৌ-পথ এবং সড়ক পথে চাঁদাবাজি,পথে পথে সরকারি টোল আদায়সহ বিভিন্ন চাঁদা দিতে হয় ব্যবসায়িদের। চাঁদাবাজি বন্ধ হলে ব্যবসায়িরা হয়রানি থেকে বাঁচবে।