প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ কুদ্দুস আলী (২৭) বলেন, হতাহতরা সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে স্বর্নটিলা এলাকার সাইফুল ইসলাম ভুট্টোর করাত কল ঘাটে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে যায়। ঘাটে মানুষের জটলা দেখে তিনি নিজে পানির নিচ থেকে তিনজকে উদ্ধার করে সিএনজিতে তুলে হাসপাতালে পাঠান। এরপর কর্তব্যরত ডাক্তার অর্নব ও এডিশনকে মৃত ঘোষণা করে। শিবমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। প্রথমে অর্নব এরপর এডিশন এবং সর্বশেষ শিবমকে উদ্ধার করা হয়। হতাহতরা গোসলের সময় সাথে লাইফ জ্যাকেটও নিয়ে ছিলেন বলেন কুদ্দুস।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শওকত আকবর খান বলেন, তিন ছাত্রকে দুপুর সাড়ে বারো টায় হাসপাতালে আনা হয়। তিনজনের মধ্যে দুজনই হাসপাতালে পৌছার আগে মারা যায়। একজনের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনা খবর পেয়ে প্রতিবেশী ও স্বজনরা ভীড় করেন হাসপাতালে। স্বজনরা হাসাপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এডিশন সাহার ফুফাতো জামাই বিধান কান্তি সাহা (৬০) বলেন, এডিশন ও শিবম দুজনে সকালে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট থেকে ফিরে তারা গোসল করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। তারা কেউ সাঁতার জানত না।
রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আলী বলেন, দুজনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া নেওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে।