খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছেন। এসময় পানি বন্ধীদের উদ্ধার এগিয়ে এসেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীঘিনালা সেনা জোনের ৪ ইস্ট বেঙ্গল (বেবি-টাইগার্স)। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে আশ্রয় নেওয়া পরিবার গুলোকে দেওয়া হয়েছে ত্রান সামগ্রী, বিনামূল্য চিকিৎসা সেবাসহ ঔষধ বিতরন করা হয়।
গত শনিবার হতে টানা বর্ষনে বন্যায় তলিয়ে গিয়েছে উপজেলা নিম্নাঞ্চল গুলো এতে অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানি বন্ধী হয়ে পড়েছেন। প্রশাসনি ২১ টি আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়া আরো ৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়।
এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাজেক আটকা পড়েছেন ২৫০ জন পর্যটক। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে সাজেক বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার।
আজ সকাল থেকেই পানি বৃদ্ধির পর পানি বন্ধীদের উদ্ধার নেমেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউটসসহ। এসময় উপজেলার তারাঁ বুনিয়া এলাকা হতে ৩০০ জন কে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিতে দেখা গিয়েছে।
আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে শুকনা খাবার পৌঁছে দিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন, রাতে, সকালে ও দুপরে খিচুড়ি রান্না করে পৌঁছে দিতে দেখা গিয়েছে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের। আজ বিকেল ৫ টায় উপজেলা ছোট মেরুং উচ্চ বিদ্যালয়ে খিচুড়ির প্যাকেট তুলে দিতে দেখা গিয়েছে উপজেলা বিএনপি সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম। এসময় তিনি জানা আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি মানুষের পাশে দাঁড়াতে। নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ৩ বেলা খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াচ্ছি।
রেড ক্রিসেন্ট উপদল নেতা মোঃ আলমগীর বলেন, দীঘিনালা বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা প্রথম থেকেই মাঠে আছি। দল নেতা মোঃ ইব্রাহিম বলেন, আজ হটাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সকাল থেকেই পানি বন্ধীদের উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করি।
দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মামনুর রশীদ জানান, বন্যায় ৩০ মেট্রিক টন চাল ও শুকনা খাবার বাবাদ ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহযোগিতায় এ-সব বরাদ্দ দিয়ে বর্ন্যাতদের পাশে আছি।
এদিকে দীঘিনালা সেনা জোনের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ ওমর ফারুকের নির্দেশনায় অন্তত ৩০০ পানি বন্ধী মানুষ উদ্ধারে ছিলো সেনাবাহিনী পাশাপাশি ত্রান সামগ্রী ও চিকিৎসা সেবা অব্যহত রেখেছে দীঘিনালা সেনা জোন।