রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ইজারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪জন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদর চৌমুহনী শাপলা চত্বর এলাকায় দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি পরিস্থিতি নিয়নস্ত্রণে নিয়ে আসে।
আহতরা হলেন- মোঃ মোশাররফ হোসেন (২২) পিতা- মোঃ তসলিম উদ্দিন সাং-কাচালং বাজার, ৫নং ওয়ার্ড, বাঘাইছড়ি পৌরসভা, থানা-বাঘাইছড়ি, জেলা-রাঙামাটি এবং মোঃ মান্না (২০) পিতা-মোঃ বাছা মিয়া, সাং-কাচালং বাজার, ৫নং ওয়ার্ড, বাঘাইছড়ি পৌরসভা, থানা-বাঘাইছড়ি, জেলা-রাঙামাটি। গুরুতর আহত দু’জনের অবস্থায় অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় তাদেরকে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদর হাসপাতাল হতে এই দু’জনকে খাগড়াছড়ি পরে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল হতে চট্টগ্রাম মেডিকেলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঘাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সরকারি ইজারা আদায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে ছাত্র দলের দু’গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ বাঁধে। আবার কেউ কেউ বলছে ফেসবুকের লিখা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৪জনের অধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কেউ কেউ বলছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়েছে। ৪জনের মধ্যে ২জনের অবস্থা আশংকাজনক তাই তাদেরকে খাগড়াছড়ি সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও ইজারা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। আবার কেউ কেউ বলছে ফেসবুকের লিখা নিয়ে এই সংঘর্ষ বেধেঁছে। এতে ৪জনের ও বেশি আহত হয়েছে। তার মধ্যে দু’জনের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় তাদেরকে প্রথমে খাগড়াছড়ি সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করলে ২জনের শাররিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম প্রেরণ করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও বিজিবি ওই এলাকায় টহল দিচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
বাঘাইছড়ি পৌর ছাত্র দলের সভাপতি মানিক ও উপজেলা ছাত্র দলের সভাপতি হুমায়ুনকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।