শুক্রবার রাঙামাটি শহরে পাহাড়ি- বাঙালি সহিংস ঘটনাসহ বৌদ্ধ বিহার ভাংচুর, লুটপাট ও খাগড়াছড়িতে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ। এসময় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা করে পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি,স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। সোমবার সকালে রাঙামাটি শহরের বনরুপাস্থ ক্ষতিগ্রস্থ মৈত্রী বিহার দেশনালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ এসব দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন,পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশের সভাপতি শ্রদ্ধালংকার মহাথের। এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মৈত্রী বিহার অধ্যক্ষ পূন্যজ্যোতি মহাথের, শীলানন্দ মহাথের,নাইন্দাচারা মহাথের, মৈত্রী বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি পূর্নেন্দু বিকাশ চাকমা,পূর্নচন্দ্র দেওয়ান প্রমুখ।
সংবাদ সন্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, গেল শুক্রবার রাঙামাটিতে সহিংসতা সময় সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা লাঠিসোঠা নিয়ে বনরুপাস্থ কাঁঠালতলী এলাকার মৈত্রী বিহার ও তবলছড়িতে আনন্দ বিহারে হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা মৈত্রী বিহারের গেইট ভেঙ্গে বৌদ্ধ মন্দিরে ভেতরে প্রবেশ করে বুদ্ধ মূর্তি ভাংচুর, পবিত্র ত্রিপিটক গ্রন্থ ছিড়ে ফেলে, আসবাসপত্র, অন্যান্য সম্পত্তি ভাংচুর ও দানবক্স লুট করে নিয়ে যায়। স্বাধীন সার্বভৌমত্ব ও ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হয়েও অন্য ধর্মের প্রতি এ ধরনের চরম অবমাননা। এ ধরনের ঘটনায় অসাম্প্রদায়িক বৈষম্যহীন বাংলাদেশ ও শান্তি প্রিয় দেশ গড়ার বিনির্মাণে বড় অন্তরায়।
সংবাদ সন্মেলনে থেকে রাঙামাটিতে বৌদ্ধ বিহার ভাংচুর, লুটপাট ও খাগড়াছড়িতে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপুরণ, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের ধর্ম,সামাজিক,সাংস্কৃতিক,প্রথাগত ঐতিহ্য ও অর্থনীতি সংরক্ষণে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ভূমিকা,পার্বত্য চুক্তির আলোকে পাহাড়কে গণতন্ত্রায়ন নিশিচত করাসহ ৫দফা দাবি জানানো হয়েছে।