অনির্দিষ্টকালের জন্য রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালীতে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করার পর এবার অনিবার্য কারণবশত আগামী ৮ অক্টোবর হতে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের রাঙামাটি পার্বত্য জেলা ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছেন জেলা প্রশাসন। রবিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের এক নির্দেশনায় পর্যটকদের রাঙামাটি ভ্রমণে বিরত থাকার আহবান জানানো হয়।
এর আগে গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা ও রাঙামাটি সহিংসতার ঘটনায় বিক্ষুব্দ ছাত্র-জনতার ডাকা তিন পার্বত্য জেলায় ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার অবরোধের কারণে সাজেক ভ্যালিতে প্রায় ১৫০০ পর্যটক আটকা পড়ে। এর পর ২৫ সেপ্টেম্বর হতে ২৭ সেপ্টম্বর তিন দিন পর্যটন ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। দ্বিতীয় দফায় সময় বাড়িয়ে ২৮-৩০ সেপ্টেম্বর ৩ দিন এবং ৩য় দফায় ১অক্টোবর হতে ৩ অক্টোবর ৩ দিন সাজেকে পর্যটক যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়। সবশেষ ৩য় দফায় সাজেকে পর্যটক ভ্রমণের উপর নিরুৎসাহিত করার পর ৪র্থ দফায় ৪ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পর্যটন ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানিয়েছেন, রাঙামাটির সার্বিক পরিস্থিতি এবং পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সময়ের মধ্যে রাঙামাটিতে পর্যটকদের ভ্রমণ না করার জন্য আমরা আহবান করছি। পর্যটকদের সাময়িক এই অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করছি এই সময়ের মধ্যে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে এবং এরপর পর্যটকরা রাঙামাটি ভ্রমণ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত: স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে মোঃ মামুন হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা ও রাঙামাটিতে পাহাড়ি বাাঙালি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আবার ১ অক্টোবর খাগড়াছড়ির টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা নামের এক শিক্ষককে ধর্ষণের অভিযোগে পিটিয়ে হত্যার পর আবারও খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে পর্যটনসহ পার্বত্য জেলার সার্বিক পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে।