রাঙামাটি জেলার দুর্গম লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের প্যাটান্যামাছড়ার দাঙ্গাবাজ নামধারী প্রতারক প্রভাবশালী নামধারী যুবলীগ নেতার অত্যাচারে ও অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গ্রামবাসী।
অভিযুক্ত হুমায়ুন কবির বগাচতর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের প্যাটান্যামাছড়ার স্থায়ী বাসিন্দা। এলাকাবাসী জানায়, অভিযুক্ত হুমায়ন কবির দীর্ঘদিন যাবৎ ওই গ্রামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে। এমন কোন অপকর্ম নাই যেটা সে করেনি।
সে মাদক সেবন, গ্রামের অন্যান্য যুবকদের মাদক সেবনে উৎসাহিত করা, নানান অবৈধ জিনিসের রমরমা ব্যবসা করা, জুয়া খেলার আসর বসানো, গ্রামের সাধারণ নিরীহ মানুষদের উপর অত্যাচার জুলুম করা এসব যেন তার নিত্যদিনের কাজ। কেউ তার অপকর্মের বিন্দু মাত্র প্রতিবাদ করলে তার উপর সে জোরালো ভাবে আক্রমণ, মারধর ও নির্যাতন চালাতো।
ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করে বলেন, হুমায়ুন মাদক সেবন করে তার স্ত্রীকে নিয়ে অনেক আগে থেকেই কিছুদিন পরপর বিভিন্ন পরিবারের উপর লাঠিসোটা নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে ও অকট্টভাষায় গালাগালি করে। মানুষকে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করে। কেউ তাঁকে কিছু বললে তাকে কুপিয়ে মারার হুমকিও দেয়।
এমনকি মামলা করার হুমকিও দেয় এবং এর আগে সে থানায় অনেক নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে ফাঁসিয়েছে, স্থানীয়রা তার অপকর্মের প্রতিবাদ করলে হুমায়ূন ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রী ও মেয়েকে দিয়ে মিথ্যে নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়।
এসব কারণে তার বিচার কেউ করতেও চায় না তার বিরুদ্ধে কেউ কথাও বলে না। হুমায়ুন পেশায় নিজেকে কৃষক পরিচয় দিলেও আসলে সে একজন মাদক ব্যবসায়ী ও অবৈধ তক্ষক সাপ ব্যবসায়ী ও পাচারকারী এবং সবার অগোচরে বেশ কিছু বছর ধরে সে এসবের রমরমা ব্যবসা করা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে এলাকাবাসী।
প্যাটান্যামাছড়া গ্রামের মমতাজ বেগম হুমায়ুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, আমি গ্রামের নিরীহ একজন মানুষ খুব কষ্ট দিন পার করি। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তি আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় এবং আমি তার প্রস্তাবে না করায় সে তখন থেকেই আমার উপর নানানকারনে অত্যাচার শুরু করে, আমাকে আমার বাড়ি থেকে বের করে দিতে চায়, আমার ছেলে মেয়েকে কুপিয়ে মারতে চায়। তার মেয়েকে আমার বাড়ির পাশে বিয়ে দেয় তার মেয়েও তার মত উগ্র স্বভাবের শ্বশুর বাড়ির সবাইকে বাবার ক্ষমতা দেখিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে, পাশাপাশি ঘর হওয়ায় আমরা তার অত্যাচারের প্রতিবাদ করলে হুমায়ন তার মেয়েকে হুকুম দেয় আমাদেরকে কুপিয়ে মারার জন্য। আমি ভয়ে কাউকে বলার সাহস পাই না আবার কাউকে বললেও কেউ তার বিচার করতে আসে না তাই বাধ্য হয়ে জোন কমান্ডার এর কাছে বিচার চাইতে এসেছি।
স্থানীয়রা এই লম্পট হুমায়নকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করার আহবান জানান। তারা বলেন, তার অপকর্মের তুলনা হয়না। তার অসাধু পথে চলার সাহস যেনো পাহাড় সমান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় নাই তার পরও সে এত ক্ষমতা পেলো কোথায় প্রশাসনের কাছে গ্রামবাসীর এমন এক প্রশ্ন রয়ে গেছে। যুবলীগ নেতা হুমায়ুনের খুঁটির জোর কোথায় এমন প্রশ্ন গ্রামবাসীর।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হুমায়ুনের এই ০১৮১৩২৫০৬১২ নাম্বারে ফোন করে হলে এটা তার নাম্বার না এবং হুমায়ুন তার নাম না বলে ফোন কেটে দেন। তবে তার নিকটতম আত্নীয় ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন এইটাই তার নাম্বার।