বুধবার , ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

ইউটিউব দেখে পাহাড়ে কমলা চাষ, সফল হেডম্যান সুদত্ত চাকমা

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
ডিসেম্বর ১১, ২০২৪ ৯:৪১ অপরাহ্ণ

পাহাড়ি জমিতে কমলা আবাদ করে স্বাবলম্ভী হলেন হেডম্যান সুদত্ত চাকমা। সুদত্ত চাকমার বাগানের কমলা ব্যাপক সাড়া পেয়েছে স্থানীয় ভাবে ও দেশের বিভিন্ন এলাকায়। বিষমুক্ত পাহাড়ি কমলা স্বাদেগুণে অন্যন্য হওয়ায় বাজারে এই কমলার চাহিদা বেশী। তাই পাহাড়েও কমলা আবাদ করে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটনো সম্ভব বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তবে ইউটিউব দেখে দেখে কমলা বাগান করে স্বাবলম্ভী হয়েছেন রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার ৭৭নং তৈ চাকমা মৌজার হেডম্যান সুদত্ত চাকমা।

নানিয়ারচর  উপজেলা ১৭ মাইল দোসর পাড়া এলাকায় ৪বছর আগে সখের বসে ১৫টি কমলার চারা নিয়ে পাহাড়ি জমিতে কমলা চাষ শুরু করেন হেডম্যান সুদত্ত চাকমা। পরে কমলা চারা এবং বীজের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার কমলা চারা দিয়ে ৪একর জমিতে আবাদ শুরু করেন। বাগানে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে রসালো ও সুস্বাদু কমলা। তার বাগানে ২ জাতের কমলা রয়েছে- দার্জেলিং ও চায়না কমলা। এই কমলা সুস্বাদু ও রসালো হওয়ায় এর বেশ চাহিদা রয়েছে জেলা এবং জেলার বাহিরে। স্থানীয় বাজারগুলোতে প্রতি কেজি ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকায় বিক্রি করা হয় এই কমলা।

এ ছাড়াও বাগান থেকে সরাসরি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য পাঠানো হয় এই কমলা। এবছর কমলা বাগানটি ৪লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেয় বাগান মালিক হেডম্যান সুদত্ত চাকমা। বাগান লিজকারী ও উদ্যোক্তা শান্তিপ্রিয় চাকমা কমলা বাগান কিনে লাখপাতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  শান্তি প্রিয় চাকমা ৪লক্ষ টাকা দিয়ে বাগান কিনে ৬-৭ লক্ষ টাকার কমলা বিক্রি করেছে আরো বিক্রি করতে পারবে বলে প্রত্যাশা করছেন। হেডম্যান সুদত্ত চাকমার এই কমলা বাগান দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন দর্শণার্থীরা। তার এই বাগান দেখে আগত দর্শণার্থীরা কমলা বাগান চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। স্থানীয়রা মনে করেন তার এই বাগান দেখে বেকারত্ব দূর করতে অনেক যুবক কমলা চাষের প্রস্ততি নিচ্ছে। এবছর রাঙামাটি জেলায় ৬শ’ হেক্টও জমিতে ৮হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন কমলা উৎপাদন করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২শ’ ১০কোটি টাকার মত।

এলাকাবাসী জানান, পাহাড়ে লক্ষ লক্ষ হেক্টর পতিত জমি পড়ে আছে চাইলে পাহাড়ের বেকার যুবকেরা এইসব জমিতে কমলা, আপেল, আংগুর, কপি, আনারস, কলা, পেঁপেঁ, পেয়ারা, আদা ও আম লিচুর চাষ করে স্বাবলম্ভী হতে পারে। এখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও এনজিও রয়েছে তারা চাইলে পাহাড়ে এধরনের চাষাবাদ করে বেকারত্বে অভিশাভ দূর করতে পারে। হেডম্যান সুদত্ত চাকমা নিজ উদ্যোগে এত বড় কমলা বাগানসহ বিভিন্ন ফল-ফলাদির আবাদ করছে। তাকে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে সহায়তা দিয়ে আরো স্বাবলম্ভী করতে পারে। তাহলে হেডম্যানের দেখাদেখি এরকম আরো অনেকে কমলা আবাদ করতে আগ্রহী হবে।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন- রাঙামাটিতে দার্জেলিং ও চায়না জাতের কমলা আবাদ হচ্ছে। রাঙামাটির কমলা বাগান মালিকেরা বিভিন্ন সোর্স থেকে কমলার চারা সংগ্রহ করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ হতে বাগান মালিকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। পাহাড়ের লাল মাটিতে কমলা চাষ উপযোগী। গত বছরের চেয়ে এবছর কমলার আবাদ ভাল হয়েছে। যে মাটিতে আইরন বেইশ থাকে সে মাটিতে কমলা আবাদ ভাল উৎপাদন হয়। তবে পাহাড়ের চুড়ায় কমলা ভাল হয় না কারন পাহাড়ের চুড়ায় পানির স্বল্পতা থাকার কারনে একটু সমতলে কমলার চাষ ভাল হয়। পাহাড়ে অনেক জাতের কমলা চাষ হয় তবে ভাল ফলন হয় দার্জেলিং ও চায়না কমলা। পাহাড়ে অনেক কমলা উৎপাদন করা সম্ভব। যেখানে কমলা বাগান হবে সেখানে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা ও স্যার ব্যবহার করলে কমলার ফলন ভাল হবে।

বাগান মালিক হেডম্যান সুদত্ত চাকমা বলেন, ৪বছর হলো আমি এই বাগানটি আবাদ করি। ৪একর জমিতে আমি বিভিন্ন ধরনের ফল ফলাদির চাষ করেছি। এবছর তেমন ভাল হবে না। আগামী বছর থেকে লাভের মূখ দেখতে পাবো। আমি কমলা বাগানটি শান্তিময় চাকমাকে ৫লক্ষ টাকা দিয়ে ইজারা দিয়েছি। তবে অন্যান্য ফল ফলাদি আমি নিজেই আবাদ করছি। তবে কমলার কলম বিক্রি করতে পারবো প্রায় ১০লক্ষ থেকে ১২লক্ষ টাকার মত।
কৃষি বিভাগ হতে কমলা বাগান সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগের লোকজন। আমি যাকে কমলা বাগান ইজারা দিয়েছি সে এবছর দার্জেলিং ও চায়না কমলা বিক্রি করে ৬-৭ লক্ষ বিক্রি করছে। আবহওয়া ও পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আগামী বছর দ্বিগুন কমলা উৎপাদন বলে আশা করছি। আমার এই কমলা বাগান প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ব্যাপক ছড়িয়ে পড়েছে। আমি সরকারি বেসরকারি সহযোগিতা পেলে কমলার পাশাপাশি অন্যান্য ফলজ বাগান করে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাতে পারবো। সাথে সাথে বেকারত্ব দূর করতে সক্ষম হবো।

কমলা বাগান ইজারাদারও উদ্যাক্তা শান্তিময় চাকমা বলেন, আমরা এই কমলা বাগান হেডম্যান সুদত্ত চাকমার কাছ থেকে লিজ নিয়েছি। লিজ নিয়ে শুধু কমলা বাগান করছি বাকি অন্যান্য ফলজ বাগান মালিক নিজেই করে। প্রায় ৬-৭ লক্ষ টাকার কমলা বিক্রি করেছি আরো ৪-৫ লক্ষ টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবো। আশা করি আগামী বছর আরো বেশি কমলা ফলন ফলানো সম্ভব হবে বলে মনে করছি। কমলা আবাদে সরকারি বেসরকারি তেমন কোন সহায়তা আমরা পাচ্ছি না। কমলা আবাদে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ হতে পোকামাকড় দমনে একটু সহযোগিতা পেলে আরো ভাল হতো।

খাগড়াছড়ি জেলার মাহালছড়ি থেকে কমলা বাগান দেখতে আসা দর্শণার্থী খোকা চাকমা ও ইভা চাকমা বলেন, আমরা অনলাইন ও ইউটিউব এ দেখে উদ্বোধ্য হয়ে এখানে কমলা বাগান দেখতে আসলাম। বাগান দেখে খুব ভাল লেগেছে তাই চায়না ও দার্জেলিং কমলা কিনে নিলাম। ভেজাল মুক্ত ও বিষমুক্ত কমলা তাই বাসার সবার জন্য কমলা কিনে নিলাম। আমরা ২বন্ধু মিলে কমলা বাগান ঘুরে বেড়ালাম খুব ভাল লেগেছে এবং বাগান দেখে অনুপ্রেরণা জেগেছে। আমরাও কমলা বাগান করার জন্য চেষ্টা করবো।

স্থানীয় লোকজন ও বেকার যুবকেরা বলেন, হেডম্যান সুদত্ত চাকমার এই কমলা বাগান আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা ঝোগিয়েছে। তাই ভাবছি আমরা যারা বেকার আছি তারা হেডম্যান থেকে সহায়তা নিয়ে কমলা বাগান করবো। পাশা পাশি অন্যান্য ফলজ বাগান করবো। পাহাড়ে অসংখ্য এধরনের খালি জায়গা পড়ে আছে ওই সব জায়গায় আমরা চাইলে কমলা ও অন্যান্য ফলের চাষ করতে পারি।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

জাতীয় প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন, ওয়াদুদ ভূঁইয়া

বাঘাইছড়িতে বন্যার্তদের পাশে মারিশ্যা বিজিবি জোন

সীমান্তে কাঁটাতারে আবদ্ধ ফেনী নদীতে বারুণী স্নানোৎসব এবারো ম্লান

খাগড়াছড়িতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের জমজমাট ‘এক টাকার বাজার’

সড়ক দুর্ঘটনায় রাঙামাটির নৃত্য শিল্পীর মৃত্যু

নানিয়ারচরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

রুমায় স্বাধীনতা দিবস পালিত

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে পুলিশ সুপারের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্তে ব্রিফিং 

রাঙামাটির কুতুকছড়িতে অগ্নিকান্ড, দোকানসহ বসতঘর পুড়ে ছাই

কাপ্তাইয়ের কৃষক পরিবারের ছেলে চিংসানুর জিপিএ-৫ অর্জন

%d bloggers like this: