শুক্রবার ও শনিবার ছুটির বন্ধে এই দুই দিনে সাজেক ভ্যালিতে হাজার হাজার পর্যটকের ঢল। বাঘাইহাট সেনা জোন মাঠে পর্যটকবাহী শতশত জীপ গাড়ি দাড়িয়ে আছে সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা হতে। সেনাবাহিনীর যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এসব পর্যটকবাহী জীপ গাড়ি পর্যটক নিয়ে সাজেক ভ্যালিতে যাবে। আবার আগামী শনিবার ও রোববারে এসব পর্যটকবাহী জীপ গাড়ি ফিরে আসবে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, গত ১৯ ডিসেম্বর বিকাল থেকে দেশের দূর-দূরান্ত হতে পর্যটকেরা সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে সাজেক ভ্যালিতে পৌছে গেছেন। শুক্রবারেও শতশত জীপ গাড়ি নিয়ে হাজার হাজার পর্যটক সাজেকে ভ্রমণে গিয়েছে। এই শীতে এবং ডিসেম্বর মাসে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা শেষে সবাই ঘুরতে এসেছে। এই সুযোগে আত্বীয়স্বজন পরিবার পরিজন সবাই মিলে সাজেকে ঘুরতে এসেছে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি এই দুই মাস অনেক পর্যটক সাজেকে বেড়াতে আসবেন। এতে সাজেক ভ্যালি ও পর্যটন স্পটগুলো থাকবে সরগরম।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক বাদল বলেন, ছেলে মেয়ে সবার বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তাই পরিবার পরিজন ছেলে মেয়ে সবাইকে নিয়ে সাজেকে বেড়াতে আসলাম। এখানে বেড়াতে এসে অনেক ভাল লেগেছে। সাজেকের দৃশ্য অনেক চমৎকার। সাজেকে এসে আমার মনে হয় আমরা বিদেশের মাটিতে ঘুরতে এসেছি। কেউ না আসলে সাজেকের সুন্দর্য অনুভব করতে পারবে না। তাই আমি বলবো সুযোগ হলে সাজেকে বাড়াতে আসেন।
সাজেক হোটেল কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, ডিসেম্বর মাসে আমাদের কটেজ রিসোর্ট ব্যবসা অনেক ভাল হচ্ছে। তবে আজ শুক্রবার এত বেশি পর্যটক এসেছে মনে হয় সাজেক কটেজ ও রিসোর্টে জায়গা হবে না। কয়েকশত জীপ গাড়ি করে পর্যটক এসেছে। গত একবছরে এই প্রথম এতগুলো পর্যটকবাহী জীপ গাড়ি আসছে।
সাজেক থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুল হাসান খান বলেন, গত দুই দিনে প্রচুর পর্যটক এসেছে সাজেক ভ্যালিতে। সাজেকে পর্যটক আসতে নিরাপত্তার কোন সমস্যা নাই। যে কেউ চাইলে সাজেক ভ্যালিতে এসে ঘুরে যেতে পারেন। তবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সর্বদা পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। সাজেকে আসতে কোন প্রকার ভয় নাই।