সম্প্রতি টঙ্গি ইজতেমা ময়দানে গভীর রাতে উগ্র সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের হামলায় ৪ জন শহীদ, অসংখ্য আহত ও নিখোঁজের প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তিসহ নিষিদ্ধের দাবীতে খাগড়াছড়ির রামগড়ে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রামগড় বাজারে সর্বস্থরের ওলামায়ে কেরাম ও তাওহীদি জনতার মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করে হাজারো তাওহীদি জনতা।
এ সময় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারকে বিতর্কিত করার পতিত স্বৈরাচারের যে ষড়যন্ত্র তারই অংশ হিসেবে তাবলীগ জামাতের উপর নগ্ন হামলা এবং তাবলীগের দাওয়াত নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। ভারত ও ইসরায়েল পন্থী মাওলানা সাদ দীর্ঘদিন যাবত তাবলীগের দাওয়াতের কাজকে বিতর্কিত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বর্তমান সরকার ধৈর্যের মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছে। এ সময় বক্তারা সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, অন্যথায় ভবিষ্যতে এরা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন। এতাতীদের ষড়যন্ত্রের পূর্বের ইতিহাস তুলে ধরে তাওহীদী জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এধরনের অপচেষ্টা রুখে দিতে উদাত্ত আহবান জানান বক্তারা।
মাওলানা আবদুল হান্নান মানছুরের সঞ্চালনায় রামগড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল হকের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, রামগড় কোট মসজিদের খতিব মাওলানা আক্তার হোসেন জাহাদী, কালাডেবা মাদ্রসার পরিচালক মাওলানা আবুল বশর, ফেনীরকুল মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, বলিপাড়া মাদ্রসার পরিচালক মাওলানা ক্বারী নুর হোসেন, খাগড়াবিল জামে মসজিদ খতিব মাওলানা তাজুল ইসলাম, রামগড় কাওমী মাদ্রাসা ও ওলামা ঐক্য পরিষদ রামগড় শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ আবদুল মালেকসহ প্রমুখ।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন এর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি জমাদেন আলেম-ওলামারা।