রাজস্থলী উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং হেডম্যানদের বিরুদ্ধে সিল, স্বাক্ষর, প্রত্যয়নপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্য নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ। সরকারিভাবে জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটের জন্য ১শত টাকা থেকে ৩শত টাকা, হেডম্যান প্রতিবেদনের জন্য ৩শত থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে বলে জানায় অনেক ভুক্তভোগী জনসাধারণ। এছাড়াও রোহিঙ্গা নয় সনদসহ অন্যান্য কাগজপত্র তৈরিতেও টাকা নেওয়া হয়েছে বলে জানায় ভুক্তভোগীরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় নিম্ন আয়ের মানুষ।
নতুন ভোটার ইচ্ছুকদের চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, প্রত্যয়নপত্র এবং হেডম্যান প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন বৈধ কাগজপত্র তৈরি করতে গিয়ে এমনই অনৈতিক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন নতুন প্রজন্মসহ অভিভাবকরা। উপজেলার ১নং গাইন্দ্যা, ২নং ঘিলাছড়ি এবং ৩নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং হেডম্যানদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ জানিয়েছে স্থানীয় জনসাধারণ।
ভুক্তভোগী জানান, কোনো ধরনের সনদ বা কাগজে সীল এবং স্বাক্ষর প্রয়োজন হলে সচিব সাহেব ৫০ টাকা দাবি করেন। এটি বাধ্যতামূলক না হলেও টাকা না দিলে কাজ সম্পন্ন হয় না।
এই বিষয়ে বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা সরকার কর্তৃক ধার্যকৃত নিয়ম অনুযায়ী টাকা নিচ্ছি। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে গণমাধ্যমে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
হেডম্যান প্রতিনিধির সাথে কথা বললে তিনি ঐ বিষয়গুলো অস্বীকার করে বলেন, মানুষ অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে হেডম্যান কার্যালয়ের।
রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজীব কান্তি রুদ্র এই বিষয়ে বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে একাধিক অভিযোগ এসেছে। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি যাতে জনগণের কোনধরনের ভোগান্তি না হয়। আমরা আইন-শৃঙ্খলা মিটিংয়ে এই বিষয়টি নিয়ে জোরালোভাবে আলোচনা করেছি যেনো কেউ তাদের নিয়ম না ভাঙেন। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা তৎক্ষণাৎ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এছাড়াও রাজস্থলীতে নয়জন হেডম্যান রয়েছেন তাদের সাথেও আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।