নির্বাচনী রোডম্যাচ ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে রাঙামাটিতে বিএনপি’র বিশালসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা সহ্য করবে না বিএনপি অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের ঘাড়ে রগকাটা জঙ্গি ভূত চেপে বসেছে। ১৭বছর পর বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পাহাড়ি বাঙালি আমরা সবাই এক। একরক্ত প্রবাহিত হচ্ছে সবার শরীরে তাই আমরা চাকমা, পাংখোয়া, মারমা, ত্রিপুরা, বম, লুসাই আমরা সবাই এক। আগামীতে জনগণের সমর্থন নিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বর্ণ যুগের সূচনা হবে। তাই সবাই মিলে আমরা এক সাথে থাকবো। আপনাদের এই পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে এই পার্বত্য চট্টগ্রামকে এশিয়ার উন্নত দেশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে উন্নয়ন করা হবে।
১৭ বছর পরে আজ এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পতিত হাসিনা সরকারের ছেলে জয়, বোন রেহেনা ও রেহেনার মেয়ের অনিয়ম দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা পরিবারের বাংলার মাটিতে রাজনৈতিক করার কোন অধিকার নাই। শেখ হাসিনা নাকি দেশে আসবে তাকে আসতে বলেন তবে আসার আগে দেশের সম্পদের হিসাব ও মানুষ খুনের হিসাব দিয়ে দেশে আসতে হবে। হাসিনা দেশে আসার সাথে সাথে তার হাতে, হাত কড়া পড়বে,সে জেলে যাবে। বাংলার মাটিতে তার বিচার হবে। সারা দেশে শেখ হাসিনার নির্যাতনে দেশের মানুষ গত ১৭বছরে অতিষ্ট হয়েছিল। মাত্র ২কোটি টাকার মামলা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে ১২-১৪ বছর জেলে আটকে রেখেছিল খুনি হাসিনা। আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে গেছে তাই তাদের ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার রাখে না। বিদেশে বসে হাসিনা বাংলাদেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। অন্তর্বর্তীকালিন সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,জঙ্গি ভূত ইউনুসের ঘারে চেপে বসেছে। জঙ্গি ভূত ভিতরে ভিতরে ভোটের কথা বলবে কিন্তু ওরা ভোট চাইবেনা। ওরা রগকাটাকে বিশ্বাস করে। তাই নির্বাচন নিয়ে তারবাহানা না করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহন করুন। নির্বাচন দিতে দেরি হলে কঠোর আন্দোলনে যাবে বিএনপি। সবাই মিলে এক সাথে আছি,এক সাথে থাকি। সবাই এক সাথে থাকলে ভাল। গতকাল বিকালে শহরের রিজার্ভ বাজারস্থ আব্দুল শুক্কুর ষ্টেডিয়ামে রাঙামাটি জেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত বিশাল জন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র যুগ্ন সম্পাদক হাবিব উন নবী খান সোহেল।
জেলা বিএনপি’র সভাপতি দীপন তালুকদার দিপুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুনের সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম) জাতীয় নির্বাহী কমিটি মাহাবেবুর রহমান শামীম,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম) জাতীয় নির্বাহী কমিটি হারুনুর রশিদ, ধর্ম বিষয়ক সহ সম্পাদক,জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও সাবেক যুগ্ন জজ এ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান, প্রাক্তন সংসদ সদস্য মনিস্বপন দেওয়ান,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক(চট্টগ্রাম), জাতীয় নির্বাহী কমিটি ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, উপজাতি বিষয়ক সহসম্পাদক,জাতীয় কমিটি লেঃকর্ণেল মণিষ দেওয়ানসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, সংস্কার সংস্কার না করে আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। জামায়াত ইতি মধ্যে তিন আসনে নির্বাচন প্রার্থী ঠিক করে রেখেন। তারা আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চায়। শেখ হাসিনা পালিয়েছেন। দেশের নিরাপত্তা স্থিতিশীল রাখার জন্য ও দেশের জনগণের স্বার্থের জন্য বিএনপি দ্রæত নির্বাচন চায়। দেশ সংঘাতের দিকে চলে যাচ্ছে। পিছে না তাকিয়ে মাথা উচু করে সামনের দিকে যেতে হবে বিএনপিকে। অন্তর্বর্তীকালিন সরকার সংস্কার নিয়ে ব্যস্ত। নির্বাচন হলে জনগণ সংস্কার করে। অন্তর্বর্তীকালিন সরকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। পাহাড়ি বাঙালি আমরা সবাই বাংলাদেশী। দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপি ধর্য ধরে ছিল বিধায় ৫ আগস্টের মত একটি দিন এসেছিল। ৫ আগস্টের মাষ্টার মাইন্ড ছিলেন তারেক জিয়া। বেসিক কিছু রদ বদল করে নির্বাচন দেওয়াই অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের কাজ। হাসিনার শেষ রক্ষা হয়নি। অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের ও সে দশা করবে জনগণ। দ্রæত নির্বাচন দেওয়া হবে বুদ্বিমাত্রার কাজ।
বক্তারা আরো বলেন,পাহাড়ি বাঙালি সবাই একাকার হয়ে এই বিশাল সমাবেশে মিলিত হয়ে সভাকে স্বার্থক করে তুলেছেন। হাসিনা বিদেশে থেকে ষড়যন্ত্র করছে। হাসিনাকে ফিরত আনতে হবে। ছাত্র জনতার নাকি নতুন দল তৈরি করছে। পতিত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। তালবাহানা না করে দ্রæত নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। খুনি হাসিনাকে দেশে ফেরৎ আনতে হবে। আগামী দিনে এদলের নেতৃত্ব দেবেন জাইমা রহমান। হাসিনার পরিবার এদেশে রাজনৈতিক করার কোন সুযোগ নাই। আওয়ামী লীগ আর পুনঃবাসীত হওয়ার সুযোগ নাই। ডামি নির্বাচন বিএনপি ও দেশের জনগণ মেনে নিবেন না। জাতীয় নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছি।