রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন এর ৩ নং ওয়ার্ডের দূর্গম বারুদগোলা মৌন পাড়ায় আছে শতবর্ষী জটাধারী একটি বটগাছ। স্থানীয়রা এই বটগাছটি “দেওদুলং” বলে ডাকে।
স্থানীয় ৮৫ বছর বয়সী ভীমসেন কারবারি বলেন, এই বটগাছটির শাখা প্রশাখা সুবিন্যস্ত হয়ে একসময় ধারণ করেছিল দোলনার রূপ, যাতে দেবতারা দোল খেতেন মর্মে লোকগাথা আছে। সে থেকে তার নাম “দেওদুলং”। তিনি আরোও বলেন, এটার বয়স ১শত বছরেও অধিক হবে। আমি ছোট বেলা হতে এটা দেখে আসছি।

দূর্গম বারুদগোলা মৌজায় অবস্থিত শতবর্ষী বটগাছ “দেওদুলং”
১৩০ নং বারুদগোলা মৌজার হেডম্যান কালচান তনচংগ্যা এবং এলাকার প্রবীন ব্যক্তি দয়াল চাকমা বলেন, এই গাছটি রুপণ করেছিলেন প্রয়াত চন্দ্র হংস তনচংগ্যা। উনি গেংগুলি গান করতো তাই তাকে ডমরু গেংগুলি বলেও ডাকতো। তাঁর নাম অনুযায়ী ঐ পাড়াটার নাম একসময় ডমরু গেংগুলি পাড়া ছিল, এখন তার নাম বারুদগোলা মৌন পাড়া। উনি আমাদের মাঝে নেই। এই বারুদগোলা মৌন পাড়ায় শতবর্ষী বটগাছটি অবস্থিত। পাড়াবাসী যখন জুম চাষ করে ক্লান্ত হন, তখন এই গাছের নীচে বসে মনটা’ কে প্রফুল্লিত করেন।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান আহমেদ বলেন, বট গাছের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো এটি পরিবেশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং মাটিতে পানি ধরে রাখে। এ গাছের কষ থেকে রাবার উৎপাদন এবং বাকলের আঁশ দিয়ে দড়ি ও অন্যান্য জিনিসপত্র তৈরি করা যায়। বট গাছের পাতা, বাকল ও আঠাসহ বিভিন্ন অংশের নানারকম গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে।