রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি খামারপাড়া তৈমিদুং এলাকায় আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসীত) ও জেএসএস (সন্তুু) সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। এতে ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের ১ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম নির্মল খীসা। তবে আঞ্চলিক গ্রুপগুলোর কাছে সে তারেং বাবু নামে পরিচিত ছিলো। সে পাহাড়ি আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ-এর পরিচালক ও চিফ কালেক্টর ছিলো। তার পিতার নাম সুনিল বাবু খীসা। তবে এ ঘটানায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এদিকে খবর পাওয়ার সাথে সাথেই রাঙামাটি জেলা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এবং নিহত ব্যাক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। পুলিশ সূত্রে জানাযায়, প্রাথমিক ভাবে নিহত নির্মল খীসার শরীরে ৩টি গুলির ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। শরীরের সামনে-পিছনের দিকে ১টি করে ২টি গুলি ও মাথায় ১টি। ধরনা করা হচ্ছে কাছাকাছি অবস্থান থেকেই তাকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানাযায়, জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বর্তমানে ওই এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনার পর ওই এলাকার জনসাধারণের মধ্যে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির পরও অশান্তি বিরাজ করছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র প্রতিনিয়ত অবৈধ অস্ত্রের মুখে চাঁদাবাজি ও সীমানা দখল নিয়ে ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। এরআগে গত ১২মার্চ বরকল উপজেলার শুভলং এর রূপবান এলাকায় জেএসএস সশস্ত্র গ্রুপ ও ইউপিডিএফের সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি সংগঠিত হয়। এতে জেএসএসের কালেক্টর সম্রাট চাকমা নামে ১ জন নিহত হয়। ধারণা করা হচ্ছে সেই হত্যার জেড় ধরেই জেএসএসের সন্ত্রাসীরা আজকে এই হামলা চালিয়েছে।