দীর্ঘ ২৭ বছর পর উত্তাপ ছড়াতে রাঙামাটির মারী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হলো চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনী খেলায় বান্দরবান জেলা দল ১-০ গোলে স্বাগতিক রাঙামাটি জেলা দলকে হারিয়ে এগিয়ে যায়। এতে নিজ জেলায় প্রথম বারের মত ম্যাচ পরিচালনা করেন দেশের প্রথম নারী ফিফা রেফারি রাঙামাটির কন্যা জয়া চাকমা।উদ্বোধনী খেলা দেখতে মারী স্টেডিয়ামে ঢল নামে দর্শকদের।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকাল তিনটায় বেলুন উড়িয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন প্রধান অতিথি থেকে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। এসময় চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শারমিন জাহান, রাঙামাটি সদর সেনা জোন কমান্ডার, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন, চট্টগ্রাম ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ লিটন, রাঙামাটি জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ, জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, খেলাধুলায় মানুষের মন ভাল থাকে। খেলাধুলা করলে মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্ম থেকে বিরত থাকা যায়। খেলাধুলা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি। ভাল একজন খেলোয়াড় জাতির সামনে তার ব্যক্তিগত পরিচয়সহ দেশের পরিচয় বহন করতে পারে। মানসম্পন্ন খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। খেলাধুলার মাধ্যমে সকল অপকর্ম ধুয়েমুছে খেলাধুলাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাই। সবাই এই টুনামেন্টকে সহযোগিতা করছেন তাই সবাইকে বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষে হতে ধন্যবাদ জানাই।
জেলা প্রশাসক বলেন, ফুটবল আমাদের প্রিয় খেলা এই খেলাকে আমরা কি ভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সে লক্ষে সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। খেলাধুলা করলে নিজেকে গঠন করার মাধ্যমে দেশ এবং জাতিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন। এই টুনামেন্ট আগামী৫-৬ দিন চলবে সবাই প্রতিদিন খেলা দেখতে আসবেন এই প্রত্যাশা করছি। তিনি বলেন, আগামী ৫-৬ দিন ধরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে উপভোগ করতে সকলের প্রতি দাওয়াত রইলো।
প্রথমার্ধে কোন দলই কাংখিত গোলের দেখা পায়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বান্দরবান দলের ৯ নম্বর জার্সি পরিহিত শৈমংসিং মারমা একমাত্র গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে ম্যান অব ম্যাচ ঘোষণা দেন কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল শনিবার চট্টগ্রাম জেলা দলের বিপক্ষে লড়বে খাগড়াছড়ি।
টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে চট্টগ্রাম, তিন পার্বত্য জেলা, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ বিভাগের ১১টি জেলা দল। দলগুলো দুটি জোনে ভাগ হয়ে রাঙামাটি ও কুমিল্লা ভেন্যুতে খেলবে। পরে উভয় জোন চ্যাম্পিয়ন দল শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে।
দীর্ঘ ২৭ বছর পর এই আয়েজনে মাঠে ক্রীড়ামোদী দর্শকদের ঢল নামে। শিশু কিশোর, নারী পুরুষ নির্বিশেষে সববয়সী মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এরআগে সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে এই শহরটি হয়েছিল ফুটবল আসরের গর্বিত ভেন্যু।