‘রাঙামাটির বাছাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দুইটি ও বঙ্গলতলী একটি পূজামন্ডপে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় মহোৎসব ‘শারদীয় দুর্গা উৎসব’ উদযাপিত হচ্ছে।
দূর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পূজামন্ডপ স্থানগুলোতে বসেছে ছোট-ছোট মেলা।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট এলাকায় দূর্গাপুজা মন্ডপগুলো পরিদর্শন শেষে আর্থিক অনুদান ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য উপহার সামগ্রী তুলে দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে ‘দূর্গাপূজার শুভেচ্ছা’ বিনিময় করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোনের ৬ইষ্ঠ বেঙ্গল এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল খাইরুল আমিন।
এসময় পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দূর্গাপূজা উৎসব। আজকের সপ্তমীতে পূজা মন্ডপে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পাহাড়ি ও বাঙালি একত্রিত হয়ে যেভাবে পূজা মন্ডপে এসেছেন তাতে বুঝা যায়। প্রত্যেকে যার যার ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং এক ধর্ম অন্য ধর্মকে শ্রদ্বাকরে থাকেন। এরই মাধ্যমে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকে বলে মনে করেন। তিনি আরো বলেন সবাই একত্রিত হয়ে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারলে সামাজিক অবক্ষয় হবেনা এবং ভবিষ্যতে এধরনের অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী বাঘাইহাট জোন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সাজেক থানা বিএনপি সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বাঘাইহাট কাঠ মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার, সাজেক থানা যুবদলের সভাপতি মোঃ মামুনুর রশিদ মামুন। সাজেক থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম পলাশ। সাজেক ইউনিয়নের ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ ইউসুফ,সহ দূর্গাপুজা কমিটির সভাপতি বাসুদে, নয়ন দে, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমূখ্য।
সেনাবাহিনীর আর্থিক ও নিরাপত্তাজনিত সহায়তা পেয়ে শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন কমিটি এবং উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।